অনেক লাঞ্ছনা-গঞ্জনা ও অপমান সহ্য করেও জমি বিবাদ মামলায় শেষ পর্যন্ত জয়ী হলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন । শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনের পক্ষেই রায় দিলেন বীরভূমের সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুত চক্রবর্তীর মামলার পরিপ্রেখ্ষিতে জমি ফিরিয়ে দিতে অমর্ত্য সেনকে নোটিস পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বুধবার সেই মামলার শুনানী হয়। দীর্ঘ শুনানীর পর বীরভূমের সিউড়ির জেলা আদালত বিশ্বভারতীর সেই ‘এভিকশন অর্ডার’ বা উচ্ছেদের নির্দেশ সম্বলিত নোটিস খারিজ করে দিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এই জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে অনেকদিন ধরে অমর্ত্য সেনের টানাপোড়েন চলছিল। আজকের আদালতের রায় গেল নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন’র পক্ষেই ।
অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন, এই অভিযোগ তুলে এক সময় সরব হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই সময় অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও জমি ছাড়তেই হবে অমর্ত্যকে, এই দাবিতেই অনড় থাকেন বিদ্যুৎ। মামলা পৌঁছয় আদালতে। বুধবার সেই মামলাতেই রায় দিল সিউ়ড়ি জেলা আদালত।
খুলনা গেজেট/ টিএ