খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি

গেজেট ডেস্ক

জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রোববার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ ও চলতি বছরের প্রথম অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিকেল চারটায় স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় সংসদ অধিবেশন। রীতি অনুযায়ী শুরুতেই আনা হয় শোক প্রস্তাব। শোক প্রস্তাবের পর এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপ্রধান।

বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সকল প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ। জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। আমি সরকারি দল ও বিরোধী দলের সকল সংসদ সদস্যদের এ মহান জাতীয় সংসদে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।

‘নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া আমাদের পবিত্র কর্তব্য। এ লক্ষ্যে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের মত মৌলিক প্রশ্নে দল-মত, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে আপামর জনগণকে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

রাষ্ট্রপতির ভাষণে গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে করোনা প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে বিগত দুবছর জনসাধারণের জীবন-জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হয়। এ সময়ে জীবন রক্ষার পাশাপাশি আর্থসামাজিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই ছিল সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আর্থসামাজিক এ সংকট মোকাবিলায় সরকার নিয়েছে হোল অব দ্যা গভর্নমেন্ট এ্যাপরোচ।

‘করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন প্রকার বিধি-নিষেধ আরোপ ও প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি ১৫৬টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। এছাড়া করোনা পরীক্ষার জন্য ১৫১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা খাতে গত অর্থবছরের তুলনায় বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৩ শতাংশ। ইতোমধ্যে প্রায় ৭ কোটির অধিক জনগণকে টিকা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই দেশের অধিকাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে পৃথিবীর অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যুর হার অপেক্ষাকৃত কম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী, দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণায় আমরা এখন পর্যন্ত করোনা এবং এর অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছি।

‘তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যাতে আমাদের দেশে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সেজন্য সরকারকে সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা দেয়ার তথ্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘করোনার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ঝুঁকি বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সংকট মোকাবিলায় বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার দেশের আপামর জনসাধারণকে সুখ-স্বাচ্ছন্দে রাখতে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।’

‘এ লক্ষ্যে সরকার প্রদত্ত ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬৩ হাজারের অধিক জনগণ এবং ১ লাখ ১৭ হাজারের অধিক প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে ইতিবাচক অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে, যা সামষ্টিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকসমূহ ও সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বিশ্লেষণে প্রতিফলিত হয়। করোনা মহামারি শুরুর পূর্বে ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা করোনাকালীন হ্রাস পায়।

‘তবে সরকারের বিভিন্ন টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে নানামুখী আর্থসামাজিক ও বিনিয়োগধর্মী প্রকল্প, কর্মসূচি এবং কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের জিডিপির ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির তুলনায় সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক চার-তিন শতাংশে, যা আশাব্যাঞ্জক।’

চিকিৎসাখাতে গবেষণা বৃদ্ধির উদ্দেশে চার বিভাগে চারটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানান রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা-শিক্ষার সম্প্রসারণ ও গুণগত মান-উন্নয়নে দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণার উদ্দেশে ৪টি বিভাগে ৪টি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

‘চিকিৎসা শিক্ষা প্রদানকারীদের মান তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন, ২০২০’ প্রণয়নের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নেয়া গৃহহীনকে ঘর দেয়া কর্মসূচির বিষয়টিও উঠে আসে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সেমি-পাকা গৃহ নির্মাণ করে বিনামূল্যে উপকারভোগী স্বামী-স্ত্রীকে এর যৌথ মালিকানা প্রদান করা হয়েছে।

‘সকলের জন্য পরিকল্পিত আবাসন সুনিশ্চিতকরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে বস্তিবাসীদের জন্য ৩০০টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৫০০টি গৃহনির্মাণে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুকূলে ৮ কোটি ৯৩ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উদ্যাপন উপলক্ষ্যে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার বাসস্থান প্রদান করা হবে। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন বিশ্বে সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রথম।

‘দেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের ধারণা মানবিকতার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ধারণা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন, নিরাপদ ও সময়-সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ২৬টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

‘২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৬২ কিলোমিটারের অধিক মহাসড়ক মজবুতিকরণ, ১ হাজার ১০৭ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ, ৭৪ কিলোমিটার মহাসড়কে রিজিড পেভমেণ্ট নির্মাণ, ১৯২টি সেতু ও ৭৭৯টি কালভার্ট নির্মাণ এবং প্রায় ৩ হাজার ১৪৫ কিলোমিটার মহাসড়ক সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকার ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৪৫৮ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সার্ভিস লেনসহ ৭১৯ কিলোমিটার এবং সার্ভিস লেন ব্যতীত ১৬৮ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন এবং পরিবেশ উন্নয়নে ছয়টি এমআরটি লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা-২০৩০ গ্রহণ করেছে।

‘এর মধ্যে এমআরটি লাইন ছয়-এর নির্মাণকাজ ৭৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং দশ সেট মেট্রো ট্রেন বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল চলাচল শুরু করবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের সুষ্ঠু এবং সমম্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজস্ব অর্থায়নে ৯ দশমিক আট-তিন কিলোমিটার দীর্ঘ আইকনিক পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে যা ২০২২ সালের জুন নাগাদ সম্পন্ন হবে।

‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ জুন ২০২৩ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তিন দশমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহু-লেন টানেলের দ্বিতীয় টানেলের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাভার ইপিজেড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পের নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের সকল জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রেলওয়েকে আধুনিক, যুগোপযোগী গণপরিবহন হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান অর্থবছরে প্রায় ১৩ হাজার ৩৭১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মোট ৩৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

‘ঢাকা শহরের চতুর্দিকে সার্কুলার রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে পদ্মা সেতু রেল লিংকের ভায়াডাক্ট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং-স্টক সংকট নিরসনে ১৪০টি লোকোমোটিভ, ৯০০ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ এবং ১০৩টি স্টেশনের সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশীয় পর্যটন শিল্পের সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে একটি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নকল্পে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

‘কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার লক্ষ্যে এর রানওয়ে সম্প্রসারণের পাশাপাশি একটি আন্তর্জাতিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। নতুন প্রজন্মের ১৬টি উড়োজাহাজ সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হয়েছে।’

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!