বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী গুম, খুনের শিকার হয়েছে। জনগণের আন্দোলনে, জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঠিকই হয়েছে কিন্তু এখনো আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্থাৎ জনগণের রাজনৈতিক অধিকার এখনো অর্জিত হয়নি। কাজেই আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত কলারোয়া ফুটবল মাঠে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই প্রথম কোন জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিলেন।
কিছু রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়ে বিভ্রান্ত কিছু কথা বলছেন মন্তব্য করে বিএনপির ভাপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমান বলেন, এজন্য আমাদেও সজাগ থাকতে হবে। দেশের ভিতরে ও বাইরে যারা কলকাঠি নাড়ছেন তারা চায় না দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। একযুগেরও বেশি সময় ধরে সমগ্র দেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল সে কথিত স্বৈরাচারের এই অত্যাচার ও নির্যাতন। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে তারা কিভাবে হত্যা করেছিল, অত্যাচার ও নির্যাতন করেছিল এই সাতক্ষীরা ও কলারোয়ার মানুষ তার স্বাক্ষী। প্রায় দুই যুগ ধরে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বৈরচার মুক্ত হয়েছে। জনগণের আন্দোলনের মুখে এই দেশ থেকে স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আসুন আমরা দৃঢ় শপথ গ্রহণ করি যে এই দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জনগণের সরকার দরকার উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রাস্তা একটি জনগণকে সাথে নিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের মানুষ যদি গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পায় তাহলে দেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে।
তারেক রহমান বলেন, বিএরপির রাজনীতি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি। প্রত্যেকটি এলাকার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলে যেসব সম্ভাবনা রয়েছে তা সামনে এনে দেশকে এগিয়ে নেওয়া হবে।
এসময় তিনি সাতক্ষীরার আম, টালি, চিংড়ি মাছ ও সুন্দরবনের কথা উল্লেখ কওে এসব পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষনের মাধ্যমে বেকার যুবকদেও কর্মসংস্থান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানান।
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক, শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলা মামলার ফরমায়েসি রায়ে ৭০ বছরের কারান্ডপ্রাপ্ত হয়ে সদ্য কারামুক্ত সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব এর সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আমিনুল ইসলাম, ডাক্তার শহিদুল আলম, সাবেক এমপি-কাজী আলাউদ্দিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল হাসান, যুবদল নেতা আইনুল ইসলাম নান্টা প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এএজে