রপ্তানির বাধা কাটিয়ে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে দেশে এসেছে ১০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এই চালান এসে পৌঁছে।
ভারত থেকে আবার টিকা আসার তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শামসুল হক।
সম্প্রতি ভারত সরকার টিকা রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে অনুমতি দেওয়ার পর ১০ লাখ ডোজ করোনার টিকা বাংলাদেশে এসেছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এসব টিকা এসেছে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই টিকা দিয়েই দেশে প্রথম গণটিকাদান শুরু হয়।
ভারত প্রথমে এ বছরের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে ২০ লাখ টিকা উপহার হিসেবে পাঠায়। চার দিন পর, অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি চুক্তির প্রথম চালানে আরও ৫০ লাখ টিকা আসে। দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। নিজেদের দেশের মানুষকে টিকা দিতেই মূলত ভারত এই সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ ২৬ মার্চের পর ভারত থেকে সেরামের টিকার আর কোনো চালান দেশে আসেনি।
এতে করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ টিকার ব্যাপক সংকটের মুখে পড়ে। নানা সমালোচনাও হয়। অগ্রিম টাকা নিয়েও চুক্তি অনুযায়ী টিকা না দেওয়ায় সংসদে পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় এ বছরের ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১৪ লাখ মানুষ তখন কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় টিকার ডোজ নির্ধারিত সময়ে নিতে পারেননি।
পরে অবশ্য সরকার চিনের সঙ্গেও টিকা নিয়ে একটি চুক্তি করে। আর বিভিন্ন দেশ থেকেও বাংলাদেশ উপহার হিসেবে বেশকিছু কোভিশিল্ড টিকা পেয়েছে। কিছু টিকা কেনাও হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম