‘পরপর দুইটি নির্বাচনে জয় লাভ করে ৬ বছর দায়িত্ব পালনের পর জানলাম আমার প্রার্থীতা বৈধ নয়। আমার এলাকা পরিচালকের দ্বিতীয় নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবে ২৩ ফেব্রুয়ারী। অথচ তৃতীয় নির্বাচনে আমার মনোনয়পত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এটা স্বার্থ হাসিলের জন্য।’ শনিবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুরে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন, বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক (এলাকা নং-২, চিতলমারী) মোঃ আলমগীর হোসেন।
প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে তিনি আরও জানান, বিগত দুই মেয়াদে (৬ বছর) বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক (এলাকা নং-২, চিতলমারী) হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আসন্ন নির্বাচনে (৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) তিনি পুনরায় অংশ গ্রহণ করার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
২ জানুয়ারী বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশন প্রধান এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকার উপ-পরিচালক (কারিগরী), তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (এনার্জি অডিট এন্ড ট্যারিফ) এর মোঃ শামীম সরকারের নিকট উক্ত মনোনয়নপত্র জমা করেন। উক্ত কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাছাইকালে বিধিবর্হিভূতভাবে ১০ জানুয়ারী তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল বলে ঘোষণা করেন। সেই সাথে ওই কর্মকর্তা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একই পদে একটি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শামীম হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। অথচ নির্বাচন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির ৪ এর চ ধারায় উল্লেখ আছে ‘স্থানীয় সরকারি বা আধা-সরকারি সংস্থার বেতন/ভাতাদি প্রাপ্ত পদে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি বৈধ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন না।’ এছাড়াও বৈধ ঘোষণা করা ওই স্কুল শিক্ষকের পিতার নাম, ঠিকানা ও মিটার নম্বরসহ বিভিন্ন বিষয়ের সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য জরুরী কাগজপত্রের সাথে অসংগতি রয়েছে।
এ সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার আবেদন করলেও অদৃশ্য কারণে বিষয়টি বিবেচনায় আনা হচ্ছে না বলেও মোঃ আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপেক্ষ বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশন প্রধান এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকার উপ-পরিচালক (কারিগরী), তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (এনার্জি অডিট এন্ড ট্যারিফ) এর মোঃ শামীম সরকার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, গ্রাহক শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রার্থী মোঃ আলমগীর হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বৈধ ঘোষণা হওয়া প্রার্থী মোঃ শামীম হোসেনের তথ্য গোপনের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড