খুলনা, বাংলাদেশ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  বরিশালে শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত তরুণ গণপিটুনিতে নিহত

ছেলের সাথে বাড়ি ফিরলেন সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধা শুকুরুননেছা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা শুকুরুননেছা অবশেষে খুঁজে পেলেন আপন ঠিকানা। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বাড়ি ফিরলেন তিনি। সুন্দরবনে গাছের ডালে শুয়ে থাকা এক বৃদ্ধা উদ্ধার হওয়ার খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে ওই বৃদ্ধার ছেলে রফিকুল ইসলামের। এরপরই যশোর জেলার মনিরামপুর থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ছুটে আসেন রফিকুল। পরে মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর মা কিছুটা মানুসিক ভারসাম্যহীন। এর আগেও কয়েকবার মাকে হারিয়েছেন। একবার এক বছর পরে মাকে খুঁজে পেয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আমার মায়ের একমাত্র সন্তান। আমরা একটি সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সদস্য। আমাদের গ্রামের বাড়ি খুলনার তেরখাদায়। আমার মামা সরকারি চাকরি করেন। বাবাও সরকারি চাকরি করতেন। আমার মা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়াতে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ফলে বাবার চাকরি চলে যায়। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে মা আমার সাথে যশোরের মনিরামপুরে থাকতেন।

রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, এক মাস দশ দিন আগে আমি যশোরের মনিরামপুর থেকে গ্রামের বাড়ি খুলনার তেরখাদায় পারিবারিক একটি কাজে যাই। আমি যাওয়ার পর থেকে মা গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। তাঁর একদিন পর আমার স্ত্রী খবর দেয় মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরে আমি সেখানে ছুটে যাই এবং আশপাশে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও মাকে খুঁজে পায়নি। এরপর বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে দিয়েও মাকে খুঁজে পায়নি। হঠাৎ শুক্রবার গণমাধ্যমে সংবাদ দেখে মায়ের খোঁজ পেয়েছি। তবে, বড় বড় নদী পার হয়ে কিভাবে গহীন সুন্দরবনে পৌঁছালেন, সেখানে কতদিন ছিলেন, কি খেলেন এসব বিষয়ে মা কিছুই বলতে পারছে না।

শ্যামনগর থানার ভঅফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া ওই নারীকে তাঁর ছেলে রফিকুল ইসলাম শ্যামনগর থানা থেকে বাড়িতে নিয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বাদুজুলি খালের পামে গাছের ডালে শুয়ে থাকতে দেখে ওই নারীকে উদ্ধার করে লোকালয়ে নিয়ে আসেন শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এলাকার দুই জেলে। পরে সেখান থেকে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাস মাসুদুল আলমের হেফাজতে রাখা হয় ওই বৃদ্ধা নারীকে। শনিবার বৃদ্ধার ছেলে রফিকুল ইসলাম আসলে শ্যামনগর থানার পুলিশের মাধ্যমে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!