বাগেরহাটের শরণখোলায় সৎ ছেলে ও তাদের পরিজনদের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মৃত. হাচেন আলী হাওলাদারের স্ত্রী শাহিনুর বেগম (৫৫)।
শনিবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাহিনুর বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার কন্যা শরণখোলা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী মোসা. সুমী আক্তার।
লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মৃত. হাচেন আলী হাওলাদারের দুই সংসারের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের দীর্ঘদিনের। আমার কন্যাকে নিয়ে আমার ছেলে প্রবাসী মনির হোসেনের বাড়িতে থাকি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি আমার ছেলে মনিরের ভোগদখলীয় জমির ঝাড় থেকে বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হলে আমাকে ও আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে বাড়ি ছেড়ে দিতে হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখে। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আমার সৎ ছেলে ঢাকায় বসবাসকারী জামাল হাওলাদারের নির্দেশে অপর সৎ ছেলে নান্না হাওলাদারের নেতৃত্বে তার দুই ছেলে রাসেল হাওলাদার, মাসুম হাওলাদার, ইয়াসিন ফরাজীর ছেলে শহিদুল ফরাজী, মনির খলিফার ছেলে মেহেদী খলিফা, শহিদুল সওদাগরের স্ত্রী মঞ্জু বেগম, ও নাসির মাতুব্বরের স্ত্রী লিলি বেগম আমার ছেলের বাড়িতে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার কন্যাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়।
ওই সময় আমার মেয়ে সুমি প্রতিবাদ করলে নান্নার দুই ছেলে তার চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলিয়া দেয় এবং তার পড়নের কাপড় ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানী ঘটায় ও পিটিয়ে জখম করে আমি তার চিৎকার শুনে মেয়েকে রক্ষা করতে গেলে আমাকেও এলোপাথাড়ি পিটাইতে থাকে এবং শহিদুল ফরাজীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার মেয়ের মাথায় আঘাত করিতে গেলে তা লক্ষভ্রষ্ট হয়ে আমার ডান হাতে লাগে ও রক্তাক্ত জখম হই। আমি বর্তমানে শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। এ ঘটনায় আমার মেয়ে সুমী শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুনারায় বিবাদীরা হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখে এবং মামলা তুলে না নিলে আমার মেয়েকে খুন করার হুমকি দেয়। অন্যদিকে মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য না দেয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শণ করিতেছে। এছাড়া অবৈধ মালামাল দিয়া আমাকে ও আমার মেয়েকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার মেয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। তাই এসব দুবৃত্তদের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নান্না হাওলাদারের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করলেও কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, আসামিরা পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে, দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই