বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বৈষম্য বিরোধী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্য, খুলনা’র উদ্যোগে শুক্রবার (০৯ আগস্ট ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহীদ হাদিস পার্কের শহীদ বেদীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
নাগরিক নেতা অ্যাড. কুদরত-ই-খুদা’র সভাপতিত্বে এবং নাগরিক নেতা অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্র্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাশ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এ রশীদ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আ ফ ম মহসীন, নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, সাংস্কৃতিক সংগঠক মাহফুজুর রহমান মুকুল, নাগরিক নেতা অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী, সিপিবি খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিত্যানন্দ ঢালী, নারী নেত্রী আলমাস আরা, চিকিৎসক নেতা ডা. এস এম ফরিদুজ্জামান, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খোকন, খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম শিমুল, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, কবি শে মনিরুজ্জামান লাভলু, জাহানারা আক্তারী, সমাজকর্মী অধ্যাপক রমা রহমান, সুজনা জলি, শিক্ষক শারমীন সুলতানা, যুব ইউনিয়ন নেতা আফজাল হোসেন রাজু, সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা উত্তম রায়, অভিনয় শিল্পী ও ফ্যাশান ডিজাইনার সুমা বড়াল, সুজনের ইরিনা আক্তার, সমাজকর্মী ইকবাল হাসান তুহিন, আল কামাল, খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোাইটির ইয়াসিন শেখ, চুন্নু খন্দকার, সাবেক ছাত্রনেতা অর্চিষ্মান দেবনাথ, চন্দন দত্ত প্রমুখ।
এ সময়ে বলা হয়, একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ-রাষ্ট্র কাঠামো গঠনের যে চেতনাকে ধারণ করে এত জীবন, রক্ত, ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয় অগণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতা বিহীন, সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরতন্ত্রের জন্ম না দেয় সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনায় গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ সময় বক্তারা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং বিশেষভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
অভ্যুত্থানে নিহতদের অনেককেই কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ ছাড়াই কবর দিয়েছে। ফলে অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা না হলে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় শ্রমজীবী পরিবারগুলি বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ন্যায্যতা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ, প্রতিটি হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন, সকল শ্রমিকদের কারফিউ ও সাধারণ ছুটির সময়ের পূর্ণ মজুরি এবং চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/কেডি