খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত
  খুলনার ফুলতলা উপজেলায় সুমন মোল্লা নামের একজনকে গুলি করে হত্যা
  সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয় : ডিএমপি
  মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি ৬ মে পুনর্নির্ধারণ

ছাত্রের মারপিটের শিকার শিক্ষক, আতংকে পরিবার 

চিতলমারী প্রতিনিধি

নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেনি ছাত্র। এ জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরমপূরণ করতে দেননি তাকে। এতে ক্ষিপ্ত ওই ছাত্র মামাতো ভাইকে সাথে নিয়ে মারপিট করেছে তার কলেজের এক শিক্ষককে। রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুর ২ টায় ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটর চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালশিরা গ্রামে ওই ছাত্রের মামা নুরুল শেখের বাড়ির সামনে।

মারপিটের শিকার শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র পোদ্দার (৪৪) কালিদাস বড়াল স্মৃতি ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ও হামলাকারী মোঃ নাঈম শেখ (১৮) ওই কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং কালশিরা গ্রামের মোঃ জাহিদ শেখের ছেলে। এ সময় সাথে তার মামাতো ভাই শফিকুল শেখ (১৪) ছিলো। শফিকুল একই গ্রামের নুরুল শেখের ছেলে।

কালিদাস বড়াল স্মৃতি ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক প্রকাশ চন্দ্র পোদ্দার বলেন, ‘২০২৩ সালের এইচএসসি’র নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করায় মোঃ নাঈম শেখকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরমপূরণ না করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ ঘটনার পর রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে মোঃ নাঈম শেখ ও তার মামাতো ভাই তরিকুল শেখকে সাথে নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের রুমে যান। এ সময় তারা ফরমপূরণ করতে দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষসহ উপস্থিত শিক্ষকদের শাসায় ও ভয়ভীতি দেখায়। আমি তাদের অশালীন ব্যবহারের প্রতিবাদ করি। প্রতিবাদ করায় দুজনে আমার উপর খুব ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ থেকে চলে যায়। পরে আমি বাড়ি ফেরার পথে নাঈম ও তার মামাতো ভাই শফিকুল আমাকে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। বর্তমানে আমরা গোটা পরিবার ওদের হামলার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি।’

ঘটনার পর থেকে মোঃ নাঈম শেখ ও শফিকুল শেখ পলাতক থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাদের পরিবারের কেউও এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কালিদাস বড়াল স্মৃতি ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায় বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ওই শিক্ষককে দেখতে তার বাড়িতে গিয়েছি। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। দেখা যাক কি হয়।’

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!