ঝিনাইদহে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের মামলার পৃথক দুটি ধারায় এক যুবকের যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের কারাদণ্ডসহ তিন লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশে তিনি উল্লেখ করেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ হওয়ায় ধর্ষক আমিরুল ইসলামকে (৩৩) এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৫ মে হরিণাকুন্ডু উপজেলার সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় ভায়না গ্রামের আমিরুল ইসলাম। সে দুদিন মেয়েটিকে ঝিনাইদহ শহর ও হরিণাকুন্ডুর সাতব্রিজ এলাকায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে ১৭ মে ঝিনাইদহ শহরের কলাহাট এলাকায় তাকে ফেলে পালিয়ে যান আমিরুল ইসলাম।
এ ঘটনায় ২৯ মে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় আমিরুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ জুলাই আমিরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘদিন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ধর্ষণের দায়ে আমিরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।