রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ তিন ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল।
গ্রেফতার অপর দুই ছাত্রদল নেতা হচ্ছেন সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান রুমি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তরের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলা করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও একটি মামলা করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতারা গত ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেটে ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ ১৮/২০ জন শর্টগানের গুলিতে আহত হন। অপরদিকে এ ঘটনায় ১০/১৫ জন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় ১৭ আগস্ট রাতেই তিনটি মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী। তিনি বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দুটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, তাদের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে তাদের ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আর পুলিশের মামলাটি করা হয়েছে সরকারি কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগে।
এর মধ্যে পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ ১৫৫ জনকে এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের মামলায় অজ্ঞাতসংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি জানে আলম মুন্সী।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী দল ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অদৃশ্য করা হচ্ছে।