যশোরের চৌগাছায় মাত্র ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহালদশায় ভোগান্তির শেষ নেই। বর্ষায় চলাচলে ঝুঁকি বাড়ে কয়েকগুণ। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি এলাকাবাসীর।
চৌগাছা-পুড়াপাড়া সড়কের তালতলা নামক স্থান হতে একটি সড়ক খড়িঞ্চা নওদাপাড়া গ্রামের মাঝখান দিয়ে উত্তরে আন্দারকোটা পুড়াপাড়া সড়কে মিলিত হয়েছে। সড়কটি দৈর্ঘ্য মাত্র ১ কিলোমিটার। দেশ স্বাধীনের পর উপজেলাতো বটেই সংশ্লিষ্ঠ স্বরুপদাহ ইউনিয়নের সড়কে অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্তু বিন্দুমাত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি খড়িঞ্চা নওদাপাড়া গ্রামের সড়কটিতে। সড়কের পাশে একটি ডোবা আছে মেইন সড়ক ভেঙে ওই ডোবাতে মিশেছে। অল্প বৃষ্টি হলেই ডোবা পানিতে ভরে পাশে যাতায়াতের স্থানে হাটু পানি জমে যায়। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত এই পানি পাড়ি দিয়ে স্থানীয়দের নিয়মিত চলাচল করতে হয়। গ্রামটিতে আছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের শিশুদের স্কুলে যাতায়াতে অসহ্য কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে প্রতিদিনই। সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মানুষের কষ্ট লাঘবে সড়কের কয়েকটি স্থানে ইটের গুড়া ফেলে চলাচল উপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেনের বলেন, জন্মের পর থেকেই সড়কের এই বেহালদশা দেখে আসছি। ভোট এলে নেতারা সড়কটি পাকাকরণের আশ্বাস দিলেও ভোট শেষ তো ওয়াদা শেষ।
ফসিয়ার রহমান, তাজউদ্দিন, বিল্লাল হোসেন বলেন, ১ কিলোমিটার সড়ক গ্রামবাসীর গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। এই সড়কের কিছু সলিং, কিছু কাঁচা। তবে ডোবার পাশে কাঁচা সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টি হলে আমরা কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি হতে বের হতে পারি না।
গৃহবধূ তাসলিমা আক্তার, বিলকিস বেগম বলেন, আমরা কিছুই চাই না, শুধু সড়কটি পাকা হলেই আমরা খুশি। স্কুল শিক্ষার্থী ইব্রাহীম খলিল, আল আমিন, সুমাইয়া খাতুন বলেন, সব সময়ই সড়কটি খুব খারাপ থাকে, তবে বৃষ্টি হলে পুকুর পাড় দিয়ে ভয়ে ভয়ে স্কুলে যেতে হয়। এই রাস্তাটা পাকা হলে আমাদের কষ্ট দূর হবে।
স্বরুপদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল কদর জানান, সড়কটির ডোবার পাশে ব্যক্তি মালিকানা জমি হওয়ার সুবাদে পাকাকরণে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয়দের কষ্টের কথা বিবেচনা করে কাদাযুক্ত স্থানে ঘ্যাস ফেলার উদ্যোগ নিয়েছি। দুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা মিটিংয়ে দ্রুতই আলোচনা করবো।
উপজেলা প্রকৌশলী রিসায়েত ইমতিয়াজ বলেন, ওই সড়কটির জন্য বেশ কয়েক জায়গা হতে সুপারিশ এসেছে, দ্রুতই সরেজমিন ঘুরে এসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল