যশোরের চৌগাছায় সরকারি গাছ কাটা চক্র গুলো আবারও সক্রিয়। একের পরে এক মেন সড়কের পাশ থেকে সরকারি গাছ কাটা হলেও কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি না থাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর আগেও চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের পাশে চাঁদপাড়া কলেজের পাশের মেন সড়কের বেশ কয়েকটি গাছ নানা ভাবে মারা হয়। সে সময় বিষয়টি নিয়ে বেশ পত্র-পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হলে বেশ কয়েকদিন থেমে যায় এই গাছ কাটা চক্রটি।সম্প্রতি সেই একই সড়কের হাজরা খানা গ্রামের পাশের জেলা পরিষদের একটি কড়ই গাছ থেকে বাঁকল তুলে নেওয়া হয়েছে গাছটি মারার উদ্দেশ্য।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যেয়ে দেখা যায়, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের হাজরাখানা গ্রামে রাস্তার পাশে একটি দরগাহ আছে,আর তার পাশে একটি চায়ের দোকান পাশেই সড়কে রয়েছে এই সরকারি কড়ই গাছটি। ওই গাছটির গোড়ার চারিদিক থেকে পাঁচ থেকে ছয় ফুট বাকলসহ কাঠের কিছু অংশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি খুব দ্রুতই শুকিয়ে মারা যাবে।এর ১০০ গজ আগেই এই একই সড়কের আর একটি বড় কড়ই গাছের গোড়ায় কেরোসিন অথবা আগুন ধরিয়ে মারার শেষ্ঠা করা হয়েছে।সেই গাছটিও প্রায় মরার মতো।
স্থানীয়রা জানান, গাছটির গোড়া থেকে বেশ খানিক জায়গার বাকল উঠিয়ে নেওয়ায় গাছটি ধীরে ধীরে মারা যাবে। পরে মরে যাওয়া গাছটি থেকে কাঠ এবং খড়ি সংগ্রহের পরিকল্পনা। তবে সচেতন মহলের দাবি, একের পর এক সরকারি বড় বড় গাছ মারার পিছনেও গাছের পাশের জমি মালিকের হাত থাকতে পারে।ছায়া থেকে জমির ফসল রক্ষার জন্য তারা এই কাজও করতে পারে।
যশোর জেলা পরিষদের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে স্থানীয়রা যশোর জেলা পরিষদে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই