যশোরের চৌগাছা উপজেলার হিজলী গ্রামের বিপুল হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। এ মামলার অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে রোববার ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাকে আটক করে যশোর ডিবি পুলিশ। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান জবানবন্দি গ্রহণ শেষে রফিকুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন জানান, চৌগাছা উপজেলার হিজলী গ্রামের জামাল হকের ছেলে বিপুল হোসেনের বস্তাবন্দি লাশ গত ৫ জুন সকালে বেড়গোবিন্দপুর মুলিখালী বটতলার রাস্তার পাশের একটি ঝোঁপ থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম। বিপুলকে হত্যার পর তিনি পালিয়ে ঢাকায় চলে যান। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত রোববার রাতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এরপর সোমবার আটক রফিকুল ইসলামকে যশোরের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এদিন বিকেলে তিনি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তিনি জানান, হিজলী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আবু শামার স্ত্রী ফুলবানুর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বিপুল হোসেনের। এরই জের ধরে ফুলবানুর ছেলে সবুজ হোসেন ও তার ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন মিলে বিপুলকে গরু কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে কয়ারপাড়া গ্রামে নিয়ে হত্যা করা হয়। দক্ষিণ কয়ারপাড়ার যে বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়, সেটি রফিকুল ইসলামের। এরপর তার লাশ বস্তাবন্দি করে বেড়গোবিন্দপুর মুলিখালী বটতলার রাস্তার পাশের একটি ঝোঁপের পাশে ফেলে রাখা হয়।
৫ জুন সকালে পুলিশ সেখান থেকে বিপুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা হলে ডিবি পুলিশ সবুজ হোসেন, ফুলবানু ও তুহিন নামে তিনজনকে আটক করে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ফুলবানুর জামাই মামলার অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলাম। এরপর ডিবি পুলিশ তাকে আটক করলে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়।
খুলনা গেজেট / এমএম