যশোরের চৌগাছায় পাইকারি বাজারে সবজির দাম হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে। বাজারে পাইকারি ব্যাপারীরা না আসায় হঠাৎ বাজার পড়ে গেছে বলে বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পাইকারি বাজারে সবজির দাম পড়ে গেলেও মাত্র দুইশ’ মিটারের মধ্যে খুচরা বাজার থেকে দ্বিগুন- তিনগুন দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
শুক্রবার পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। সরবরাহ কম হলে সাধারণত দাম বেশি হলেও বাজার ঘুরে দেখা যায় উল্টোটা।
বাজারের আড়ৎদার মুকুল হোসেন বলেন, আজ পাইকারি বিক্রি দর ছিলো শিম পাঁচ থেকে আট টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫ থেকে ১৭ টাকা, বেগুন ১৮ থেকে ২০ টাকা, পটল ২৮ থেকে ৩০ টাকা, মিস্টি কুমড়ো ২৮ থেকে ৩০ টাকা, মুলো ৫ থেকে ৬ টাকা, পেপে ৫ থেকে ৮ টাকা, বাধাকপি ৫ থেকে ৭ টাকা, ফুলকপি ১২ থেকে ১৫ টাকা করে কেজি দরে। অন্যদিকে মাত্র দুইশ মিটার দুরের খুচরা বাজারে শিমের দাম ২০ থেকে ত্রিশ, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০, কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে চল্লিশ, বেগুন ৩০ থেকে চল্লিশ, পটল ৪০ থেকে পঞ্চাশ, মূলো ১৫ থেকে বিশ, বাধা কপি ২০ থেকে ২৫, পেপে ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পাইকারি বাজারের আড়ৎদার মুকুল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে বাইরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কম আসায় সবজির দাম হঠাৎ করে কমে গেছে। যদিও গত সপ্তাহের টানা বৃষ্টির পর থেকেই সবজির দাম নিম্নমুখী ছিল। এ সময় তিনি আরো বলেন,গতদিন যে শিম ১৬ টাকা করে কিনেছিলাম আজ সেই শিম ছয় টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। গতকাল ১৬ টাকা দরে ৭০০ কেজি শিম কিনে বিক্রির জন্য এক পাইকারি বাজারে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে পাঁচ হাজার টাকার উপরে লস হবে।