মাত্র ১২০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট ও ২ টাকা আবেদন ফরম খরচ করে ২৪ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী পেয়েছেন পুলিশে চাকরি। প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার পর তাদেরকে পুলিশ সদস্য হিসেবে বরণ করে নিয়েছে জেলা পুলিশের সদস্যরা। শনিবার (২৩ মার্চ) পুলিশ লাইন্স মাঠে এসব রিক্রুটিং পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে নিয়োগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় ও সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আরএরম ফয়জুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া যখন শুরু করেছিলাম, তখনি বলেছিলাম চুয়াডাঙ্গার সবাই যেন নিরপেক্ষভাবে এতে অংশ নিতে পারে। মেধাভিত্তিক, যোগ্য প্রার্থীরা যেন একদম বিনা পয়সায় চাকরি পায়, সে চেষ্টা আমরা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি নিয়োগ প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করার জন্য। শেষ পর্যন্ত শতভাগ ন্যায়, নীতি ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করেছি। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি, এটা আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি।’
আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, নির্বাচিতদের অন্য কোনো পরিচয়, সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থান ভূমিকা পালন করেনি। সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত ১২০ টাকা তাদের সরকারি খরচ ছিল। জেলা পুলিশ সব বিষয়ে খুবই তৎপর ছিল।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ১ম ধাপে চাকরি প্রার্থীদের মধ্য থেকে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা শেষে ৩০১জন প্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপের জন্য মনোনীত করেন। গত (১৬ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে ৩০১জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার মধ্য থেকে ৬৫ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
শনিবার (২৩ মার্চ) লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে থেকে ২৪ জন ছেলে এবং ৪ জন মেয়েসহ মোট ২৮জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়।
নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে ২৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সাধারণ কোটায় ১৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ জন এবং পুলিশ পোষ্য কোটায় ২ জন বাংলাদেশ পুলিশের রিক্রুটিং পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কামরুল আহসান, মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ডিআইও-১ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
খুলনা গেজেট/ এএজে