চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯১ জনে। এ সময় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সবার শরীরেই করোনা শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ শনাক্তের হার শতভাগ। শনাক্তের এই হার দেশের সব অঞ্চলের মধ্যে রেকর্ড।
বুধবার (২৩ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান। তিনি জানান, বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ৪১টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। সবগুলোর ফলাফলই করোনা পজিটিভ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৮৩৭ জনে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৯ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১ জন, আলমডাঙ্গার ৭ জন এবং জীবননগরের ১৪ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় মারা যাওয়া ২ জনের মধ্যে একজন সদর ও একজন জীবননগর উপজেলার বাসিন্দা। এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৯১ জনের মধ্যে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের ও জেলার বাইরে ১০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ২ হাজার ৪৯ জন সুস্থ হলেন।
বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৯৭ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২৭২ জনের মধ্যে ২৩ জন হাসপাতালে, ২৪৯ জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং একজনকে জেলার বাইরে রেফার্ড করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৯৪ জনের মধ্যে ৮৩ জন বাড়িতে, ১০ জন হাসপাতালে এবং একজনকে রেফার্ড করা হয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলার ২০৫ জনের মধ্যে বাড়িতে ১৮৪ জন, হাসপাতালে ১৯ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং রেফার্ড করা হয়েছে দুইজনকে। জীবননগর উপজেলার ১২৬ জনের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে এবং ১১৭ জন বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, সংক্রমণ বেড়েছে। জেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স এবং পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। অক্সিজেনেরও কোনো সংকট নেই।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা, আলুকদিয়া ইউনিয়ন, দামুড়হুদা এবং জীবননগর উপজেলায় লকডাউন চলছে। কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন কিছুটা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও এরপর থেকে অনেকটা গাছাড়াভাবে চলছে মানুষ। যদিও প্রশাসনের তৎপরতার কমতি নেই।
খুলনা গেজেট/ টি আই