বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠিতে প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের প্রধান সড়ক পুরাতন ডিবি রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। চুলকাঠি বাজার ও এসএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র চুলকাঠি ঘনশ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রধান সড়কটি স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৯ বছরেও পিচপাকা হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চুলকাঠিতে প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের চুলকাঠি বাজার ও এসএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র চুলকাঠি ঘনশ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রধান সড়ক (পুরাতন ডিবি রাস্তা) চুলকাঠি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হতে চুলকাঠি বাজার স্বাধীনতা চত্বর সড়কটি দিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার নিকলাপুর, ভট্রবালিয়া ঘাটা, ভট্রকনকপুর হাকিমপুর, রনজিতপুর, খানপুর খানপুর সুগান্ধী, রনভুমি, সুদুল্ল্যাপুর, সায়ড়া, রামপালের সোনাতুনিয়া, দেবীপুর, ভরসাপুর, ফকিরহাটের বাসবাড়িয়া, ঘনশ্যামপুর দেয়াপাড়াসহ মোট ২০টি গ্রামের মানুষের যাতযয়াতের প্রধান এই সড়কটি স্বাধীনতার ৪৯ বছর অতিবাহিত। পিচপাকা না হওয়ায় নিত্যদিন নানা দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। এই সড়কটি সম্পুর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় চুলকাঠি বাজারের মুদিসহ অনান্য ব্যবসায়ীদের খুলনা-মংলা মহাসড়কের উপর মালামাল আনলোড করতে হচ্ছে এতে এক দিকে যেমন বাড়ছে ব্যয়; অন্যদিকে মহাসড়কে ও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। আবার এই সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা বাজার ও শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়ে খুলনা-মংলা মহাসড়ক ব্যবহার করতে হয়। ফলে প্রতি নিয়ত ঘটচ্ছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এ পযর্ন্ত প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছে।
স্থানীয় ৯ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী বলেন, এই রাস্তাটি খারাপ থাকায় আমাদের বাজারের মধ্যদিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। এতে বিভিন্ন সময় আমার কয়েকজন সহপাটি ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় বাসিন্দা সাধন কুমার জানান, এই সড়কটি পাকা না হওয়ায় আমরা গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগে আছি। আমাদের কোন কেউ অসুস্থ্ হয়ে পড়লেও সড়ক খারাপ হওয়ায় এ্যাম্বুলেন্স আসে না।
উপজেলা আ’লীগ নেতা চিন্ময় দেবনাথ বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই মাটির সড়কটি ডুবে যায়। যার ফলে এলাকাবাসী সীমাহীন দুর্ভোগে আছি। এই রাস্তাটি দ্রুতপাকাকরনের আবেদন জানাচ্ছি।
চুলকাঠি বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ মনিরূজ্জামান ফকির বলেন, এই সড়কটি পাকা না হওয়ায় খুলনা-মংলা মহাসড়কের উপর মালামাল লোড-আনলোড করে কুলিদের দিয়ে মালামার দোকানে আনতে হচ্ছে। ফলে ব্যায় দিগুন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
খুলনা গেজেট/এআইএন