চুয়াডাঙ্গায় চাঁদাবাজি মামলায় সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বেলগাছি রেলগেট এলাকা থেকে প্রথমে স্থানীয়রা বিশ্বজিৎ সাহাকে আটক করেন। পরে তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হোসেন আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বেলগাছি রেলগেট এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহাকে পেটান সাধারণ জনগণ। পরে তারাই পুলিশকে খবর দিয়ে বিশ্বজিৎকে পুলিশের কাছে তুলে দেন। এরপর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নেয় পুলিশ। এদিন দুপুরেই চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনে আফজাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অংশ নেন। ওই সময় বিশ্বজিৎ সাহা ও আরশাদ আলী চন্দনসহ আরও ৪-৫ জন আফজালের দোকানে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে আফজালকে তুলে নিয়ে গিয়ে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ সময় ৫০ হাজার টাকা দিলেও তারা পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। এ সময় আফজাল হোসেনকে মারধরও করা হয়।
এই ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বিশ্বজিৎ সাহাসহ ছয়জনের নামে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হোসেন আলী গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয়রা বিশ্বজিৎ সাহাকে হালকা মারধর করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশ্বজিৎ সাহাকে উদ্ধারের পর সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এদিন দুপুরেই চাঁদাবাজি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে