চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ান এবং উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানসুতে প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহত হয়েছেন ১২ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১২জন। নিখোঁজের সংখ্যা আও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন।
এই দুই প্রদেশের বন্যা উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে চীনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ধারকর্মীরা।
সিজিটিএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর রোববার ভোরেই বন্যা ও ভূমিধস শুরু হয় গানসুর লঙ্গান শহর ও সিচুয়ানের বিভিন্ন এলাকায়। এই দুই প্রদেশে ৯৮ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে চীনের আবহাওয়া দপ্তর।
সিচুয়ান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় নিহত হয়েছেন ৬ জন এবং আরও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে। প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া লঙ্গানে নিহত হয়েছেন ৬ জন। তবে সেখানে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
লঙগান ও তার আশপাশের এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে নিজেদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিজিটিএন।
এদিকে, চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে যখন প্রবল বর্ষণজনিত কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে, সেই একই সময়ে ব্যাপক তাপদাহে পুড়ছে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জেজিয়াং ও বৃহত্তম শহর শাংহাই। গত এক সপ্তাহ ধরে এ দুই অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চীনের জলবায়ুবিদরা জানিয়েছেন, বৈশ্বিক জলবায়ুগত পরিবর্তনই দেশটিতে সম্প্রতি আবহাওয়াগত দুর্যোগ বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
খুলনা গেজেট/ এস আই