যশোরের চিহ্নিত প্রতারক ও দশ মামলার আসামি কেশবপুরের মঈনুর রহমানকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ওই মামলাগুলোর তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। রোববার (২ মার্চ) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মঈনুর রহমান কেশবপুর উপজেলার তেঘরি পরচক্রা গ্রামের আবুল হোসেন মোড়লের ছেলে।
কেশবপুর থানার এসআই আমিনুর রহমান জানান, মঈনুর বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে অর্ধশত মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া সাধারন মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া তার পেশা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকালে তাকে নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মঈনুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় ১০ টি মামলা পাওয়া গেছে। তার অধিকাংশই প্রতারণা ও চেক ডিজঅনারের মামলা। এর বাইরেও তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোজ নেয়া হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, তিনি চুকনগর মডেল মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। ওই কলেজে চাকরি দেয়ার নাম করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এক পর্যায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। এছাড়া পদ্মাসেতু তৈরীর সময় ওই প্রজেক্টে চাকরি দেয়ার কথা বলে বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছেন। এর বাইরেও তিনি সোনার বাংলা গরুর খামার, সোনার বাংলা ঋনদান ও সমবায় সমিতি, সোনার বাংলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস নামে প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন ভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এদিকে, রোববার তাকে আদালতে আনা হলে আদালত চত্বরে পাওনাদারদের ভিড় জমে যায়। তাদের মধ্যে রয়েছেন কেশবপুরের শ্রীরামপুরের আল আমিন, নীমতলার তরিকুল, ভোগতীর সুলতান, চৌগাছার দশ পাখিয়ার জুয়েল হোসেন, ইমামুল, মেহেদী হাসান, নুর আলম সহ অসংখ্য মানুষ। তাদের অনেকেই বলেন, অধিকাংশই মানুষকেই রোমানিয়া পাঠানোর কথা বলে তিনি ৭-১০ লাখ টাকা করে হাতিয়েছেন। এসময় মঈনুরকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন তারা। পরে পুলিশি কড়া নিরাপত্তায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে