দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে দাবানলের ঘটনায় অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এই দাবানলের জেরে দেশটির একটি শহরের দুই শতাধিক বাসিন্দা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চিলির রাষ্ট্রপতি গ্যাব্রিয়েল বোরিককে উদ্ধৃতি করে শনিবার রয়টার্স জানায়, চিলির মধ্যাঞ্চলের দাবানল উপকূলীয় শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে, এতে ৫১ মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জরুরি পরিষেবাগুলো শহুরে এলাকায় দমকলকর্মীরা হেলিকপ্টার এবং ট্রাক ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
চিলির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় পর্যটন শহর ভিনা ডেল মার এর আশেপাশের অঞ্চলগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকারী দলগুলি সেসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার এবং শনিবারের মধ্যে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ৩০ হাজার থেকে বেড়ে ৪৩ হাজার হেক্টর হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা বলেছেন, মধ্য চিলির ভালপারাইসোর পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক। সেখানে দাবানল ছড়িয়ে পড়া এলাকার রাস্তায় পাঁচটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া তথ্য বলছে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃতের সংখ্যা অনেক বাড়বে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো কিছু কিছু এলাকার দাবানল শহরাঞ্চলের খুব কাছাকাছি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব এলাকার মানুষ, বাড়িঘর এবং অন্যান্য স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।
এ দাবানলের হতাহতের ঘটনায় দেশটি ২০১০ সালের ভূমিকম্পের পর সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে বলে জানান ক্যারোলিনা তোহা। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৫০০ জন নিহত হয়।
গ্রীষ্মের মাসগুলিতে চিলিতে দাবানল অস্বাভাবিক নয়। গত বছর, রেকর্ড তাপপ্রবাহের কারণে সৃষ্ট দাবানলে প্রায় ২৭ জন মারা গিয়েছিল এবং ৪ লাখ হেক্টরের বেশি বন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
খুলনা গেজেট/এনএম