খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রত্যাহার এবং কিশোরগঞ্জে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসবির এক কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫, গুরুত্বর আহত আরও ১০

চিনির বিকল্প হিসেবে পাঁচটি প্রাকৃতিক খাবার

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

নিশ্চয়ই জানেন, বেশি চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ডায়াবেটিস রোগীদের চিনি খেতে বারণ করা হয়। এমনকি যারা ডায়েট করেন, তাদেরও খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দিতে বলা হয়। কারণ চিনি ওজন বাড়ায়।

তাই বলে যে মিষ্টি খাবার খাবেন না তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে চিনির বিকল্প হিসেবে আপনি খেতে পারেন কিছু প্রাকৃতিক খাবার, যেগুলো চিনির চাইতেও মিষ্টি। এগুলোতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণও আছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক চিনির বিকল্প খাবারগুলো সম্পর্কে-

মধু

প্রাকৃতিক মধু নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া সমাধানেও এর জুড়ি নেই। এতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজও আছে। এটা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এক চা চামচ মধুতে মাত্র ২০ ক্যালরি থাকে। চা, কফিতে চিনি না মিশিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

খেজুর

খেজুরে পটাশিয়াম, কপার, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি ৬ থাকে। এটি চিনির চাইতেও মিষ্টি স্বাদের হয়। রক্তে খারাপ কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমাতে খেজুরের জুড়ি নেই।

ফলের জ্যাম

মিষ্টি স্বাদের ফল দিয়ে বানানো জ্যাম শরীরের জন্য উপকারী। জাম, আপেল, নাশপাতি, আঙ্গুর দিয়ে বানানো জ্যাম চিনির পরিবর্তে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

আখের রস

আখের রস প্রকৃতির আশ্চর্য দান। এই পানীয়টি শরীরে দারুণভাবে শক্তি জোগায়। পাশাপাশি এটি ত্বকের টোনার হিসেবে, পরিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে এবং নানা ধরনের রোগ সারাতে সাহায্য করে। কিন্তু অন্যসব পানীয় পান করলেও আমরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আখের রস রাখি না। রাস্তাঘাটে যেসব আখের রস পাওয়া যায় সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়াও এর একটি কারণ।

স্টেভিয়া

এটি এক ধরনের ভেষজ পাতা। গবেষণায় দেখা গেছে, এর অনেকগুলো পাতা একসঙ্গে নিলে এটি খেতে চিনির চাইতেও মিষ্টি লাগে। এটি দাঁতের ক্ষয়রোগ রোধ করে। স্কিন কেয়ার হিসেবে কাজ করে, তাই ত্বকের কোমলতা এবং লাবণ্য বৃদ্ধি করে। স্বাদ বৃদ্ধিকারক হিসেবেও স্টেভিয়ার অনেক চাহিদা রয়েছে। চা, কফি, মিষ্টি, দই, বেকারি ফুড, আইসক্রিম, কোমল পানীয়সহ এ জাতীয় নানা খাদ্যপণ্য তৈরিতে স্টেভিয়া ব্যবহার করা যায়। এর ভেষজ উপাদান মানুষের দেহে কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!