বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ তাওহিদুর রহমান বাবুসহ (৪১) সাতজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের র্যাপিড এ্যান্টিজেন্ট টেস্ট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের টেস্টে তাদের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
রবিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৪ টায় চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মামুন হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্তদের ৭ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ দিন আগে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সাত্তার নামের একজন মারা গেছেন।
করোনা শনাক্ত অপর ৬ জন হলেন, তাওহিদুর রহমান বাবুর স্ত্রী সুলতানা পারভিন শিমু (৩৭), চরবানিয়ারী ইউনিয়নের চরডাকাতিয়া গ্রামের মমতাজ বেগম (৩৫) ও চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ নার্স লক্ষ্মী রানীর ছেলে অংকুশ মন্ডল (৬), সদর ইউনিয়নের আড়ুয়াবর্নী গ্রামের জুয়েলশেখ (১৮), একই গ্রামের ইরানী আক্তার (৩৮) ও কলাতলা ইউনিয়নের চরশৈলদাহ গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৬৫)। এদেরমধ্যে ৬ দিন আগে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনাক্তদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মামুন হাসান জানান, বর্তমান আক্রান্তদের জ্বরসহ বিভিন্ন উপসর্গ রয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ লিটন আলী জানান, আক্রান্তদের ৭ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরদিকে, চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ তাওহিদুর রহমান বাবু ও তার স্ত্রী সুলতানা পারভিন শিমুসহ সকলের রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও প্রার্থনা কামনা করেছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ উপজেলায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৯২ জনের। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩১ জন। এদেরমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৭ জন, মারা গেছেন একজন। অসুস্থ্য রয়েছেন ২৩ জন।
খুলনা গেজেট/ টি আই