‘বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দূর্গাপুরে প্রায় শতবর্ষ আগে নির্মিত সার্বজনীন শিব মন্দিরটি দীর্ঘদিন অবহেলা, অযত্নে পড়েছিল। অবশেষে শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে মন্দিরের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। পোড়ামাটির টেরাকোটা দিয়ে এই মন্দিরের সংস্কার কাজ করে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখা হবে।’ কথাগুলো জানিয়েছেন শিব মন্দিরের কার্যকরী কমিটির সভাপতি রাহুল ঘোষ।
এই শিব মন্দিরকে মানুষ ‘চিতলমারীর মঠ’ নামে চেনে। এখানে প্রায় দুই ফুট উঁচু এবং দেড় ফুট ব্যাসবৃত্তের শে^তপাথরের মূল্যবান শিবলিঙ্গ ছিল। সেটি ১৯৯০ সালের দিকে এক রাতে চুরি হয়ে যায়। তবু প্রতিবছর শিব চতুর্দ্দশীর রাত্রিযাপনসহ নানা পার্বনে এখানে পূজা হয়। এছাড়া নিত্যপূজা হয় স্বল্প পরিসরে।
শনিবার সকাল নয়টার দিকে মোনা গোসাইয়ের (মনোহর হালদার) জোড় শিংয়া ফুৎকার, শঙ্খ-উলধ্বনী ও ধুপ-দীপ জে¦লে ভক্তগণ দেবাদীদেব মহাদেব শিব শংকরকে আহবান করেন। এরপর শিবলিঙ্গের বেদির পাশে স্বস্থিকা চিহ্ন এঁকে বাস্তুঠাকুরের স্মরণ হয়। পরে নতুন ইটে বালু-সিমেন্টের সংযোগ ঘটিয়ে অতিথিবৃন্দ সংস্কার কাজ উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রবীণ মানুষ মোনা গোসাই ওরফে মনোহর হালদার, শ্যামল সিংহ, সুরেশ বোস, সমাজসেবক শশাংক কুমার ওঝা, দীপান্বিতা সরকার, সাংবাদিক প্রভাষক প্রদীপ মন্ডল, শ্রী শ্রী সার্বজনীন শিব মন্দিরের নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি রাহুল ঘোষ, সহ-সভাপতি উত্তম সোম, বাবলু হুই, সাধারণ সম্পাদক সৌরভ কুমার সিংহ, সহ-সাধারণ অর্ঘ্য বোস, কোষাধ্যক্ষ কৃষ্ণ সরকার, শিক্ষ ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক লেখক ও সাংবাদিক কপিল ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব পাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রূপক সরকার, দপ্তর সম্পাদক আকাশ সরকার, প্রচার সম্পাদক গোবিন্দ সরকার, নির্বাহী সদস্য অভি সোম প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/ টি আই