বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত’র ঘটনায় সালিস বৈঠকের আগেই মা, মেয়ে ও চাচাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বারাশিয়া বড়ঝিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধারের পর প্রতিবেশীরা রাতে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ছাত্রীর চাচা শেখ বাবুল হোসেন (৫০) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীর বাবা শেখ আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ে (১৬) এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আমাদের গ্রামের সাফায়েত শেখের ছেলে ভ্যানচালক সাইকুল শেখ (২০) যাওয়া-আসার পথে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের মধ্যস্থতায় বুধবার সন্ধ্যায় সালিস বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু সালিস বৈঠকের আগেই সাইকুল শেখ ও রুবেল শেখসহ ৪ থেকে ৫ জন লোক হামলা চালিয়ে আমার স্ত্রী মোসাম্মাৎ নুরুন্নাহার (৪৫), মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (১৬) ও ভাই বাবুল হোসেন (৫০) পিটিয়ে আহত করে। স্ত্রী ও মেয়েকে মানসম্মানের ভয়ে বাড়িতে চিকিৎসা দিচ্ছি। ভাইকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আমি সুবিচার দাবি করছি।
সাইকুল শেখের বাবা সাফায়েত শেখ (৫০) বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। আবুল হোসেনদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সেই জমি নিয়ে মারামারি হয়। মারামারিতে আমি এবং আমার মা জয়গুল নেছা (৭০) আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি।
চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হায়দার আলী শেখ বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় শেখ আবুল হোসেনের মেয়েকে উত্যক্তর ঘটনায় আমাদের সালিস করার কথা ছিল। সালিস বৈঠকের আগেই ওরা মেয়ের পরিবারের লোকজনকে মারপির করে আহত করেছে। পরে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এএইচএম কামরুজ্জামান খান জানান, মারামারিতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। যতদূর শুনেছি বিষয়টি জায়গা-জমি সংক্রান্ত। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই