বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক বছরের অধিক সময় ধরে অসংখ্য সোলার স্ট্রিট লাইট রাতে জ্বলছে না। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অকেজো লাইট গুলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রীজ না ভেনাসে’র সেটি নিশ্চিত করতে পারছে না উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর। তাই ব্রীজ না ভেনাস এই দ্বন্দে বন্ধ হয়ে গেছে নষ্ট সোলার স্ট্রিট লাইট গুলো মেরামতের কাজ। এছাড়া পরিশোধ করা হয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলোর সিকিউরিটির টাকা। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য জানালেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অপূর্ব দাস।
দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় বিভিন্ন অর্থ বছরে অপরাধ দমন ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে এ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং রাস্তায় সোলার স্ট্রিট লাইট গুলো স্থাপন করা হয়েছিল। এখানে প্রায় ৪০০ সোলার স্ট্রিট লাইট ও ১ হাজার হোম সোলার রয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় ২০১৫-১৬ ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ব্র্রীজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্ট্রিট সোলার ও হোম সোলার স্থাপন করেন। এরপর ভেনাস নামের আরও একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৮-১৯ অর্থ বছর হতে স্ট্রিট সোলার ও হোম সোলার স্থাপনের কাজ করেছেন। এ উপজেলায় প্রায় ৪০০ স্ট্র্রিট সোলার ও প্রায় ১ হাজার হোম সোলার রয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, রাস্তা, মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ ও প্রতিষ্ঠানের সামনে পথচারীদের সুবিধার্থে ২৫, ৩০ ও ৫০ ওয়াটের এ স্ট্রিট সোলার গুলো বাসানো হয়। বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানের লাইট বছর ধরে নষ্ট থাকায় পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চিতলমারীর খোকন দে, নাঈম হাসান, জাফর আলী ও বিশ্বজিৎ মন্ডল জানান, চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার সোলার স্ট্রিট লাইটসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সোলার স্ট্রিট লাইট অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ জন্য তাদেরসহ পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চিতলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অপূর্ব দাস বলেন, ‘প্রতিটি সোলারের মেয়াদ ৩ বছর। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সৌর আলো নষ্ট আছে। এছাড়া নষ্ট সোলার স্ট্রিট লাইট গুলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রীজ না ভেনাসে’র সেটি আমি নিশ্চিত করতে পারছি না। এছাড়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলোর সিকিউরিটির টাকাও দেওয়া হয়ে গেছে। তাই ও গুলো মেরামত করানো সম্ভব হচ্ছে না।’
তবে ভেনাস ও ব্র্রীজ নামের ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী চিতলমারীতে না থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম