বাগেরহাটের চিতলমারীতে সুদখোরদের নির্মম অত্যাচার-নির্যাতনে স্কুল শিক্ষিকা হাসিকনা বিশ্বাসের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মৃত্যুর দুই দিন পরে বুধবার বিকেলে হাসিকনার স্বামী যুগল কান্তি ডাকুয়া বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে চিতলমারী থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
এর আগে সুদিকারবারীদের তিরস্কার ও গালিগালাজ সহ্য না করতে পেরে সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে নিজ বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন হাসিকনা বিশ্বাস।
নিহত হাসিকনা বিশ্বাস উপজেলার দক্ষিন শিবপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা এবং খড়মখালি গ্রামের যুগল কান্তি ডাকুয়ার স্ত্রী।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিহতের স্বামী যুগল কান্তি ডাকুয়া বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছি। সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যুগল কান্তি ডাকুয়া বলেন, ‘রবিবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে বাজারের যাওয়ার সময় সুদের পাওনাদার রত্মা ও বিকাশ সুদের টাকার জন্য আমাদের প্রচন্ড রকম গালিগালাজ ও লাঞ্চিত করে। সোমবার দুপুরে অনুপ বসু ও রেফাজুল খা আবার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে গালিগালাজ করে। এর কিছুক্ষণ পরে আমার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
যুগল আরও বলেন, ‘বিপদে পড়ে কারেন্ট সুদে লোন গ্রহন করি। অনেক সুদখোরের টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। করোনাকালীন দূযোর্গের কারণে সুদের টাকা না দিতে পারায় অন্য সুদখোররা আমাদের উপর মানসিক অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে।’
খুলনা গেজেট/এনএম