খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন

চিতলমারীতে সীমানার গাছ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে সীমানার গাছ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৬ টায় সদর ইউনিয়নের পুরাতন কালশিরা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পুরাতন কালশিরা গ্রামের বিবেক কিত্তুর্নীয়া ও কৃষ্ণ মন্ডলের সাথে সীমানার একটি শিরিশ গাছকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার ভোরে (১৫ জানুয়ারী) এই গাছ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিবেক কিত্তুর্নীয়া (৬৫), তার ছেলে বিপ্লব কিত্তুর্নীয়া (২১), অপূর্ব কিত্তুর্নীয়া (১৪), প্রতিবেশী পলাশ ঢালী (২১) ও কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে আকাশ মন্ডল (১৮) আহত হয়েছে। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিবেক কিত্তুর্নীয়া ও আকাশ মন্ডলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

বিবেক কিত্তুর্নীয়ার ছেলে আহত বিপ্লব বলেন, ওই গাছ আমার বাবার লাগানো। ওটা আগে আমাদের সীমানায় ছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। ভোরে কৃষ্ণ মন্ডল ও রমেন মন্ডলসহ ১৫-২০ জন লোক হামলা চালিয়ে ওই গাছের কাটা ডালপালা আমাদের বাড়িতে নিতে আসে। তাদের বাধা দিতে গেলে পিটিয়ে-কুপিয়ে আমাদের রক্তাক্ত জখম করে।

কৃষ্ণ মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, ওই গাছ আমার পিতার লাগানো। বর্তমান ওটি আমার সীমানায়। সালিশদারদের রায়ে আমি পেয়েছি। ওই গাছের ডাল আনতে গেলে ওরা আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে।

এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরীফুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

খুলনা গেজেট/এ হোসেন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!