বাগেরহাটের চিতলমারীতে সালিশি শেষে মোঃ আনারুল ইসলাম (৫০) নামে এক পল্লী চিকিৎসকে মারপিট করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ৩ টায় সদর বাজারের শহীদ মিনার মোড় এলাকায় এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। আহত ওই পল্লী চিকিৎসক উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের মৃত ফহম উদ্দিনের ছেলে।
আহতকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
আহত পল্লী চিকিৎসক মোঃ আনারুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার (২১ এপ্রিল) আমার ভাই সবুর শেখের ক্রয়কৃত চিংড়ি ঘেরে চরপাড়া গ্রামের কয়েকজন যুবক জোরপূর্বক মাছ ধরতে যায়। এ সময় আমার ভাইয়ের লোকজন বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। মারপিটে আমার ভাইপো শাকিল শেখ আহত হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে চিতলমারী বাজারে আমাকে শালিসিতে ডাকা হয়। সালিশি বৈঠকে আসলে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন শেখ প্রতিপক্ষের লোকজনকে চিকিৎসা বাবদ ৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। ওই টাকা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে মারপিট করে হাটু ভেঙ্গে দিয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, তার গ্রামের আব্দুল্লা সর্দার নামের এক ব্যক্তি শ্রীরামপুর গ্রামের নিত্যানন্দ’র (বাবু) নিকট থেকে ঘেরের মাছ ক্রয় করে। বুধবার (২১ এপ্রিল) ওই ক্রয়কৃত মাছ ধরতে গেলে আনারুলের ভাই সবুর শেখের লোকজন তাদের নির্মম ভাবে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার জের ধরে কয়েকজন উশৃঙ্খল যুবক পল্লী চিকিৎসক আনারুলকে ধাওয়া দিলে রাস্তায় পড়ে আহত হয়।
এ ব্যপারে চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, সালিশির কথা বলে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম আমাকে ও পল্লী চিকিৎসক আনারুল ইসলামকে ডেকে নেয়। সালিশিতে বসে আনারুলকে গত বুধবারের আহতদের চিকিৎসা বাবদ ৫ হাজার টাকা দিতে বলা হয়। ওই টাকা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা তার ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
তবে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, পল্লী চিকিৎসককে মারপিটের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই