বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রত্যায়নপত্রে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগানের স্বাক্ষর জাল করে একটি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ওই কর্মকর্তা উজ্জল রায় নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে শুনানি হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান বলেন, গত ৫ অক্টোবর সদর ইউনিয়নের পুরাতন কালশিরা গ্রামের মোঃ ইসরাফিল নামের এক মাছ চাষি আমার কাছে মৎস্য ঘেরের প্রত্যয়ন নিতে আসেন। ওই চাষি চিতলমারী ব্র্যাক ব্যাংক (এসএমই ইউনিট) থেকে আনা আরুলিয়া গ্রামের রুপম মৎস্য এÐ নার্সিং পয়েন্ট খামারের মালিক উজ্জল রায় নামের এক চাষির প্রত্যয়নপত্র দেখিয়ে অনুরূপ প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার জন্য বলেন। উজ্জল রায়ের ওই প্রত্যয়নপত্রটিতে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি জাল প্রত্যয়নপত্র প্রস্তুতকারী উজ্জল রায়ের বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এ অভিযোগের শুনানী হয়।
লোন গ্রহীতা উজ্জয় রায় বলেন, আমি কোন স্বাক্ষর জাল করনি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান নিজেই আমাকে ওই প্রত্যয়নপত্রটি দিয়েছেন। এলাকার একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে।
চিতলমারী ব্র্যাক ব্যাংকের (এসএমই ইউনিট) রিলেশনশীপ অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, মৎস্য কর্মকর্তার প্রত্যায়নপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই উজ্বল রায়কে লোন দিয়েছি। প্রত্যয়নপত্রের স্বাক্ষর জাল হলে তার দায়ভার লোন গ্রহীতার।
তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত উজ্জল রায় ও ব্র্যাক ব্যাংক রিলেশনশীপ অফিসার মোঃ রুহুল আমিনকে ডাকা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে প্রতারণার বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/কেএম