বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রিয়ংকা বসু (১৫) নামে এক মেধাবী ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। প্রিয়ংকা বসু উপজেলার চরবানিয়ারী পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষ্ণ বসুর বড় মেয়ে ও চরডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নানা গুঞ্জন ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতের মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রিয়ংকা বসুর দাদু, রবীন বসু (৬৪) জানান, প্রতিদিনের ন্যায় প্রিয়ংকা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বুধবার ভোরে সে অসুস্থ্য হলে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক সুমন তালুকদার জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে প্রিয়ংকা বসুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পোনে ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষক্রীয়ায় প্রিয়ংকা বসুর মৃত্যু হয়েছে।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, প্রিয়ংকা বসুর ব্যাপারে হাসপাতাল থেকে বিষের ইতিহাস জানালে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতের মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চরডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শৈলেন মল্লিক, প্রিয়ংকা বসুর সহপাঠি সুদিপ্ত মন্ডল, শিপন গাইন, প্রতিবেশী কৌশিক, মিঠুন ও জ্যোতিষ বাড়ই বলেন, ‘সদাহাস্যেজ্জ্বল প্রিয়ংকা বসু মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে বিষপান করতে পারে না। বিষপান করার মত কোন ঘটনা তো আমরা দেখছি না। তার মৃত্যুতে এলাকায় নানা গুঞ্জন ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’