খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২
ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসির মধ্যে উত্তেজনা

চিতলমারীতে পাটা, কাটা ও সাঁকোর জন্য বিফলে যাবে ৮ কোটি টাকা

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে অসংখ্য পাটা, কাটা ও বাঁশের সাঁকোর জন্য ৮ কোটি টাকার খনন প্রকল্পের কাজ বিফলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পুনখননকৃত হক ক্যানেলে (খাল) পাটা, কাটা ও বাঁশের সাঁকোতে কচুড়ি বেধে ইতোমধ্যে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সাথে মারাত্মক ভাবে পানি প্রবাহ বাধার সম্মূখিন হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য ও গ্রামবাসিদের মধ্যে উত্তেজন বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৬/১ পোল্ডারের আওতায় প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চিতলমারী সদর বাজারের ত্রি-মোহনা থেকে (বড়গুনি) মধুমতি নদী পর্যন্ত সাড়ে ১২ কিলোমিটার হক ক্যানেলের (খাল) পুনখনন কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। ওই খালে মাছ ধরা ও পারাপারের জন্য অসংখ্য বাঁশের পাটা, কাটা (কুমোর/ঝাল) ও সাঁকো স্থাপন করা হয়েছে। এ গুলো স্থাপনের ফলে সদ্য খননকৃত খালে মারাত্মক ভাবে পানি প্রবাহ বাধার সম্মূখিন হচ্ছে। পাটা, কাটা ও বাঁশের সাঁকোতে কচুড়ি বেধে ইতোমধ্যে ওই খালে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সবচেয়ে চরম আকার ধারণ করেছে নালুয়া বাজার হতে বড়গুনি বাজার পর্যন্ত।

এ ব্যাপারে ঘোলা ও দলুয়াগুনি গ্রামের মোঃ শহীদুল ইসলাম সোহেল, মোঃ শমসের ফকির, মোঃ এনায়েত ফকির, মোঃ শাহিন শেখ, মোঃ সাইফুল শেখ, ছোট বিশ্বাস এবং সুুজত মন্ডল বলেন, ‘পাটা, কাটা ও সাঁকো তুলতে আমরা গ্রামবাসিরা অনুরোধ করেছি। কিন্তু প্রভাবশালী মোঃ এশারত আলী মেম্বার তাঁতে বাধা প্রদান করছে। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা এলাকাবাসি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ এশারত আলী বলেন, ‘পূর্বপুরুষ থেকে ওই স্থানে সাঁকো ছিল। ওরা আমাকে বলেছিল ঘোলা মাদ্রাসার সামনে দুটির বদলে একটি সাঁকো রাখতে। আমি এতে রাজি না হওয়ায় ওদের সাথে বিরোধ তৈরি হয়েছে।’

বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ সরদার বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আমি চৌকিদারদের নিয়ে অনেক পাটা ও কাটা উঠিয়ে ফেলেছি। কোন কিছুর বিনিময়ে খালে বাঁশের সাঁকো হবে না। ওই সাঁকো উঠাতে হবে। তা না হলে সরকারের ৮ কোটি টাকা বিফলে যাবে।’

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমারা ইতোমধ্যে অনেক পাটা ও কাটা উঠিয়ে ফেলেছি। বাকি গুলোও উঠানো হবে। সাঁকো নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে এটি আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

খুলনা গেজেট/ বি এম এস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!