খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন
পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে

চিতলমারীতে পানি সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১০

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীর প্রত্যন্ত পল্লীতে ধান ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়া কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় প্রতিপক্ষরা একটি বাড়িতে হামলা চালায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১ জানুয়ারী) বিকালে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের চর-কচুড়িয়া গ্রামে ধান ক্ষেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোঃ এশারত গাজী ও মোঃ আলম গাজীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এশারত গাজী গ্রুপের রেহেনা বেগম (৪০), সেতারা বেগম (৫০), এশারত গাজী (৫৫), শাকিল গাজী (২১), সাইফুল গাজী (২৭), সিদ্দিক গাজী (৬০), আব্দুল্লাহ গাজী (২২), শাহীন গাজী (২৫) এবং আলম গাজী গ্রুপের আলম গাজী (৪৫) ও জাহিদ শেখ (৩৫) আহত হন। এ সময় প্রতিপক্ষরা একটি বাড়িতে হামলা চালায়।

আহতদের ওই দিন রাতে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেহেনা বেগম, সেতারা বেগম, এশারত গাজী, আলম গাজী ও জাহিদ শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত এশারত গাজীর পুত্রবধু মারিয়া আক্তার ও মেয়ে নাজমা বেগম বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী আলম গাজী ১৫-২০ জন লোক নিয়ে আমাদের জমিতে জোরপূর্বক নালা খনন করেছে। এতে বাধা দেওয়ায় তারা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও পিটিয়ে-কুপিয়ে ৮ জনকে জখম করেছে।

আহত আলম গাজীর বৃদ্ধা মা আমিরোন নেছা বলেন, ওরা আমার ছেলে ও আত্মীয়কে মারপিট করেছে।

চর-কচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মুজিবুর রহমান মৃধা ও পাশের গ্রামের সেকেন্দার মল্লিক বলেন, এশারতের জায়গা জোরপূর্বক খনন করা হয়েছে। এটা অন্যায়, আমরা বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করছি।

তবে চিতলমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে চিতলমারী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!