বাগেহাটের চিতলমারীতে জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের চার নারীসহ সাত জন আহত হয়েছে। রবিবার (১৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক এদেরমধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। খবর শুনে চিতলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সোমবার (১৮ জানুয়ারী) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
পুলিশ, এলাকাবাসি ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের শ্যামপাড়া গ্রামের একটি বিরোধীয় জায়গায় জিন্নাত আলী মীরের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন জোরপূর্বক ঘর তুলতে যায়। এ সময় গাইন সরোজ কুমারের লোকজন বাধা দিলে জিন্নাত মীরের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সত্যজিৎ রানা (৫৫), বাসন্তী রানা (৫০), মৃন্ময় রানা (২৭), দ্বিজেন্দ্রলাল গাইন (৫৬), ববিতা গাইন (৪৫), আলোমতি গাইন (৪৬) ও অঞ্জলী গাইন (৪০) আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদেরমধ্যে সত্যজিতের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
আহত দ্বিজেন্দ্রলাল গাইন বলেন, জিন্নাত আলী মীর আমাদের বাপ-দাদার একশ’ বছর আগের ভোগদখলীয় জমি জোর পূর্বক দখল করেছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে আমি ও আমার বড় ভাই গাইন সরোজ কুমার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে অবহিত করি। তারা ওই জায়গায় জিন্নাতকে ঘর তুলতে নিষেধ করেছেন। তাদের নিষেধকে উপেক্ষা করে জিন্নাত ওই জায়গায় ঘর তোলে ও আমাদের ৭ জনকে পিটিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করে জিন্নাত আলী মীর বলেন, দের শরিক বিধান গাইনের কাছ থেকে আমার ক্রয়কৃত জমির উপর দোকান ঘর নির্মান করতে গেলে দ্বিজেন গাইন আমাদের বাঁধা দেয় ও হামলা করে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, রোববার সন্ধ্যায় ঘর তৈরির খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘনটাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন