বাগেরহাটের চিতলমারীতে গৃহবধু লতিকা হালদারের (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) লতিকার ভাই সবুজ হালদার বাদী হয়ে মোকাম বাগেরহাট বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সবুজ হালদারের আইনজীবি এ্যাড. প্রতাব মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণ সম্পর্কে এ্যাড. প্রতাব মন্ডল জানান, উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া গ্রামের যশমন্ত হালদারের বড় মেয়ে লতিকার সাথে ২০১৪ সালে সন্তোষপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের বিবেকানন্দ মজুমদারের ছোট ছেলে কানাই লাল মজুমদারের বিয়ে হয়। বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে জামাতা কানাই লাল এ পর্যন্ত যশমন্তর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে কানাই মাইক্রোবাস কেনার জন্য আরো দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এ টাকা নিতে লতিকা বাবার বাড়িতে আসে। তাঁকে অতটাকা একসঙ্গে দিতে পারেনি তার বাবা। ১৫ হাজার টাকা দিয়েছিল। বলেছিলের জমি বিক্রি করে পরে টাকা দিবে। এরপর লতিকা ১৫ হাজার টাকা নিয়েই শ্বশুরবাড়ি ফিরে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর কানাই লালসহ আসামিরা তাঁকে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
প্রথমে তাঁকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ দিন রাত সাড়ে ১১ টায় সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।