বাগেরহাটের চিতলমারীতে সুদখোরদের নির্মম অত্যাচার-নির্যাতনে স্কুল শিক্ষিকা হাসিকনা বিশ্বাসের আত্মহত্যার ঘটনায় সুনীল বিশ্বাস (৫০) নামে আরও এক সুদ কারবারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে কুড়ালতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুনীল বিশ্বাস কুড়ালতলা গ্রামের অতুল বিশ্বাসের ছেলে এবং মামলায় এজাহার নামীয় ৬ নং আসামী। সুনীল বিশ্বাসকে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে পুলিশ ২৪ জুলাই রাতে ‘হিটলিস্টে’ থাকা সুদ কারবারি রেফাজুল খান (৩৮) কে গ্রেফতার করে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, সুদ কারবারীদের তিরস্কার-গালিগালাজ ও অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে নিজ বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন হাসিকনা বিশ্বাস। নিহত হাসিকনা বিশ্বাস উপজেলার দক্ষিন শিবপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা এবং খড়মখালি গ্রামের যুগল কান্তি ডাকুয়ার স্ত্রী। মৃত্যুর দুই দিন পরে (২২ জুলাই) হাসিকনার স্বামী যুগল কান্তি ডাকুয়া বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে চিতলমারী থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকে পুলিশ আসামীদের ধরতে অভিযানে নামে। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে কুড়ালতলা এলাকা থেকে সুনীল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুনীল বিশ্বাস কুড়ালতলা গ্রামের অতুল বিশ্বাসের ছেলে এবং মামলায় এজাহার নামীয় ৬ নং আসামী। সুনীল বিশ্বাসকে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে ২৪ জুলাই রাতে ‘হিটলিস্টে’ থাকা সুদ কারবারি রেফাজুল খানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, চিতলমারীতে সুদের ব্যবসা বন্ধ ও মাদকমুক্ত করতে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খুলনা গেজেট/এনএম