বাগেরহাটের চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাবে এ অর্থ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বহুকাঙ্খিত এ ভবনের নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে মাদ্রাসাটির সাত শতাধিক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানান, ১৯৭০ সালে ইসলাম ধর্ম শিক্ষার লক্ষে আড়ুয়াবর্নী ও পাটরপাড়াসহ আশেপাশের গ্রামের তৎকালীন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে বরিশালের মাওলানা আউয়ুব আলী মুহতামিম হিসেবে যোগদান করেন। আর সেই থেকে চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে।
চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র সহকারি শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে এই মাদ্রাসায় ৪০০ জন ছাত্র, ৩৫০ জন ছাত্রী, ২৮ জন শিক্ষক, ৩ জন খাদেম ও ২ জন বাবুর্চি রয়েছে। নূরানী বিভাগ থেকে মিশকাত পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিভাগ চালু রয়েছে। তাই এত মানুষের জন্য আবাসন, ক্লাসরুম ও প্রশাসনিক ভবনের সংকট রয়েছে। সেই সংকট লাঘবের জন্য ২০১৯ সালে ৫ তলার ভিত দিয়ে বিশাল মাপের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভিত দিয়ে পিলার গুলো দাঁড় করিয়ে প্রথম তলার ছাঁদ ঢালাইয়ের আগেই বিশ্বে করোনা মহামারি হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রভাবে অর্থ সংকট সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র কাঙ্খিত বহুতল ভবণের নির্মাণ কাজ। আর কবে নাগাদ এ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে মাদ্রাসাটির সাত শতাধিক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই নির্মাণাধীন কাজ শেষ করার জন্য স্বহৃদয়বান ব্যক্তিদের চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র হিসাব নং-৩৪০১৯৭১১, সোনালী ব্যাংক, চিতলমারী শাখা ও ০১৯১১-৪৩৪৯৮৫ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম