খুলনার চালনা পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে। এ পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে নানান জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছে। ভোটাররা ভোট প্রদান করতে পারবে কি না তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা!
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ওই প্রযুক্তির পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোটারদের হাতে-কলমে ভোট প্রদান শেখানো হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। এর আগে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান সম্পর্কে দেখানো হয়।
দাকোপ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় মোট ভোটার ১২ হাজার ১০০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৮৬৩ ও নারী ৬ হাজার ২৩৭ জন ভোটার রয়েছে। চালনা পৌরসভায় নয়টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক ভোটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভোট দেওয়া তো শেখাবে। তবে মেশিনে ভোট দেওয়া নিয়ে নানা কথা শুনি। যেখানেই চাপ দিই না কেন, তা নাকি একটি মার্কায় চলে যাবে।’ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মাধুরী রায় বলেন, ‘এমনিতেই ভোট দিতে নানা রকম ঝামেলা হয়। এবার আবার মেশিন। কীভাবে ভোট দিবো, তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’
কয়েকজন প্রার্থীরা জানান, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসবে। কারণ, ছোট শহরে সবাই সবার পরিচিত হওয়ায় কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের ভোট দিতে ডেকে নিয়ে আসবে। তবে ইভিএম পদ্ধতিতে বয়ষ্কদের ভোট দিতে কিছুটা ঝামেলা হবে। ভোটারেরা কীভাবে ভোট প্রদান করবে তা কাল ‘মক ভোটের’ মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের লোকজন শেখাবে।
নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহামুদ হোসেন মুঠোফোনে খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনের ভোটকে সামনে রেখে আগামীকাল শনিবার ভোটের দু‘দিন আগে সেই ভোটের প্রস্তুতি নিতে ‘মক ভোটের’ আয়োজন করা হয়েছে। কাল ভোট কেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে দেখাতে কেন্দ্রেই বাস্তবিক ভোট প্রদান শেখানো হবে।’
খুলনা গেজেট / এআর