বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক কৃষককের স্ত্রীকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি মানজারুল ইসলাম রানা হোগলাপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির আহবায়ক।
গত রবিবার(১৩ আগষ্ট) বেলা ১২ টার দিকে রানা(২৮) তার প্রতিবেশি মিন্টু শেখের স্ত্রী ৪ সন্তারের জননী রনজিদা বেগমকে(৩৫) নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় কৃষক মিন্টু শেখ গত বুধবার বাগেরহাট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগ নেতা রানার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। পরকীয়া প্রেমের কারনে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মানজারুল ইসলাম রানা (২৮) প্রতিবেশী কৃষক মিন্টু শেখের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী রনজিদা বেগম (৩৫)কে নিয়ে ৩ দিন ধরে লাপাত্তা। এ ঘটনায় এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই পরিবারে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে।
৫ বছর বয়সী শিশু ফাতেমা আক্তার রাইসা মায়ের র্স্পশে না পেয়ে থেমে থেমে কাদঁছেন। কৃষকের গোটা পরিবার এখন দুশ্চিন্তায়।
কৃষক মিন্টু শেখ বৃহস্পতিবার জানান, বৌলপুর গ্রামের দূর সর্ম্পকে চাচাতো ভাই ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক মোনজেল হাওলাদারের ছেলে। গত ৩ বছর ধরে তার স্ত্রী রনজিদা বেগমের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে আমার সংসারের বছরের আয়ের ৫ লাখ টাকা বিভিন্ন লোকের কাছে সুদে লাগিয়ে মুনফার টাকা রানাসহ স্ত্রী ভাগ করে নেয়। সেই সূত্র ধরে তার সাথে অনৈতিক সর্ম্পক আরও গভির হয়। গত (১৩ আগষ্ট) রবিবার রেবলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি বাগেরহাট কোটে হাজিরা দিতে গেলে সেই ফাঁকে স্ত্রী ছেলে মেয়েদের ঘরে রেখে রানার ঠিক করা মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে সে আর পরিবারের কারও সাথে যোগাযোগ নেই। গত ২৬ জুলাই এনজিও কোর্ডেক থেকে উত্তোলন করা ৫ লাখ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতার সাথে। এরপূর্বে ১ মাস পূর্বে আরও একবার তার স্ত্রীকে নিয়ে পিরোজপুরে বাসা করে থাকে। পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে ফিরিয়ে আনে। তিনি এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন।
এ সর্ম্পকে ছাত্রলীগ নেতার পিতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক মনজেল হাওলাদার জানান, তার ছেলে রানা ৩দিন ধরে বাড়িতে নেই। তাকে খোঁজাখুজি করে পাওয়া যাচ্ছেনা। কৃষকের স্ত্রীকে নিয়ে গেছে কিনা সে বিষয় তিনি কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মহিদুজ্জামান মহিদ জানান, ঘটনা শুনেছি। কারো ব্যাক্তিগত অপকর্মের দায় সংগঠন নেবেনা। ঘটনার তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল