বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চাঞ্চল্যকর রিফাত ও খালিদ হত্যা মামলার চার্জশীট দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা এই দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিফাত হত্যা মামলার আসামি শাহাজাহান তালুকদার বলেন, ২০১৯ সালের ১৭ জুন চিতলমারী উপজেলার চৌদ্দ হাজারী গ্রামের কাওছার তালুকদারের ছেলে খালিদ তালুকদারকে (৬) হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে মাত্র পাঁচমাস পরে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর কাওছার তালুকদারের সৎ ভাই মান্নান তালুকদারের ছেলে রিফাত তালুকদারকে (৫) হত্যা করা হয়। খালিদ হত্যার ঘটনায় ১৯জনকে এবং রিফাত হত্যায় আমিসহ ১৬জনকে আসামি করে চিতলমারী থানায় দুটি হত্যা মামলা করেন কাওছার ও মান্নান তালুকদার। দুটি মামলায় এজাহার নামীয় সকল আসামি বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাটের তদন্তে রিফাত হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন হয়। পিবিআইয়ে পক্ষ থেকে আদালতে এজাহার নামীয় আসামিদের অব্যাহতি এবং কাউছার তালুকদারের ভাতিজা আমিন তালুকদার, সাকিব তালুকদার, ইকবাল তালুকদার ও নিকট আত্মীয় হাফিজুর রহমান ছোটকে দোষী সাব্বস্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন পিবিআই, বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে এই ন্যাক্কার জনক হত্যার বিষয়টি সবাইকে অবগত করেন। তখন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে শিশুপুত্রকে হত্যা শিরোনামে সংবাদও প্রকাশ হয়। পরে মামলার বাদী মান্নান তালুকদারের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত সিআইডির উপর মামলার তদন্তভার প্রদান করেন। এছাড়া খালিদ হত্যা মামলাটির তদন্তও সিআইডি বাগেরহাট কার্যালয় করছেন। সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম রিফাত হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তী প্রদানকারী সাকিব তালুকদার ও হাফিজুর রহমান ছোটকে খালিদ হত্যা মামলায়ও শোন এ্যারেস্ট দেখায়। পরে এসআই নিকুঞ্জ বাবু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হয়ে রিফাত হত্যা মামলার আরেক আসামি আমিন তালুকদারকে শোন এ্যারেস্ট দেখায়। এর পরে দুটি মামলায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডির পাঁচ কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও, এখনও পর্যন্ত চার্জশীট না দেওয়ায় আমরা হাতাশায় রয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, যেকোন মূল্যে আমরা এই মামলার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।
খুলনা গেজেট/ টি আই