চাঁদ রাতে মানুষের ঢল নেমেছিল খুলনার সড়কে। বিশেষ করে শিববাড়ি মোড়, নিউ মার্কেট, ডাকবাংলো, ময়লাপোতা মোড়ে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এক সঙ্গে সড়কে এতো মানুষ বহুদিন খুলনায় দেখা যায়নি।েঈদের ছুটিতে বাড়ি ভিড়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে সড়কে নেমেছিল মানুষ। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষকে নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন মোড়, রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।
এদিকে চাঁত রাতে রাতভর কেনাবেচা চলেছে খুলনার ফুটপাতগুলোতে। বিশেষ ডাকবাংলো এলাকার ফুটপাতে ভোর পর্যন্ত মানুষ দেখা গেছে। পাঞ্জাবি, পায়জামা, প্যান্ট, শার্ট, থ্রি–পিস, লেহেঙ্গা ও জুতার পাশাপাশি চলছে মেয়েদের প্রসাধনী ও ছেলেদের আতর-টুপি বিক্রি। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও চাঁদরাতের বাজারে দেখা গেছে। তবে ফুটপাতে ভিড় দেখা গেলেও বিপণিবিতানগুলোতে তুলনামূলক কম ভিড় দেখা গেছে।
বুধবার রাতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নিউমার্কেট, শিববাড়ির বড় শপিংমলের চাইতে ডাকবাংলোর ফুটপাত ঘিরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম বেশি। কিছুটা কম দামে পণ্য কেনার জন্য মানুষ ফুটপাতে ভিড় জমিয়েছেন বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। তবে শেষ মুহূর্তে ভালো বেচাকেনা করতে পারলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় তাদের ব্যবসা কম হয়েছে।
গরমের তীব্রতা কিছুটা কম থাকায় ক্রেতারা বেশ স্বস্তিতে কেনাকাটা করছেন বলে জানিয়েছেন। দিনে না এসে সন্ধ্যার পর পরিবার নিয়ে এসেছেন অনেকে।
চাঁদরাতের কেনাকাটার বিষয়ে শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান বলেন, এবার শপিং মলে মানুষ কম এসেছে। ফুটপাতে ভালো বেচাকেনা হয়েছে। তবে রোজার শেষ দিকে কিছু ক্রেতা সবখানে ভাগাভাগি করে গেছে। বেচাকেনা আগের মতো না। তবে ব্যবসায়ীরা একেবারে অসন্তুষ্টও না। তবে চাঁদরাতের বেচাকেনায় আগের সেই জৌলুশ নেই বলে মনে করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/হিমালয়