খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  যাত্রাবাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে দুই পুলিশ আহত
  জুলাই গণহত্যা : ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার পানি বৃদ্ধি, ঝুঁকিতে শহর রক্ষা বাঁধ

গেজেট ডেস্ক

বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর জেলার পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শহর রক্ষা বাঁধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

রোববার (১৯ জুন) খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। এখন এই নৌপথের যে স্থান দিয়ে লঞ্চ চলাচল করে সেস্থানটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওই স্থান দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে নৌযান নিয়ে চলাচল করতে বিআইডব্লিউটিআইয়ের পক্ষ থেকে সর্তক করা হয়েছে।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহর রক্ষা বাঁধের পাশের পুরান বাজার এলাকার অনেক স্থানে ব্লক হঠাৎ করেই দেবে যাচ্ছে।

চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তা গোপাল সাহা বলেন, শনিবার পুরান বাজারের প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্রের বাঁধ এলাকার মন্দিরের সামনের স্থানের অনেকাংশে ব্লক দেবে গেছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করলে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্য কর্মকর্তারা এসে সেখানে সংস্কারমূলক কাজ শুরু করেছেন।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বাঁধের পুরান বাজারের ব্লক দেবে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। স্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা বাঁধের নতুন বাজার ও পুরান বাজার এলাকা ভাঙনের হাত থেকে রক্ষাকল্পে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটি চিহ্নিত করে সার্ভে শুরু করেছি। বালিভর্তি জিইও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি ব্লক ডাম্পিংয়ের কাজও চলছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের কাছে ৩ হাজার বালি ভর্তি বস্তা, ১৩ হাজার সিসি ব্লক মজুত আছে।

এদিকে চাঁদপুর-ঢাকা ও বরিশাল-চাঁদপুর-ঢাকা যাত্রীবাহী লঞ্চ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে। মেঘনা ও পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে জোয়ারে পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে চাঁদপুরের সব মাছ চাষীদের বন্যার আগাম সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।

চাঁদপুর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বন্যার পানিতে পুকুর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মাছ চাষীদের উচিত হবে নেট দিয়ে পুকুর ঘিরে রাখা। দেশের অন্যান্য জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবস্থার আলোকে আমাদেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সূত্র: বাসস

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!