ওপেনিংয়ে পরিবর্তন এনে বেশ ভালো সুফল পেয়েছে বাংলাদেশ। একাদশে দুটি পরিবর্তন আনলেও এ যাত্রায় টিকে গেছেন সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ। তবে আগের চার ম্যাচে যথাক্রমে; ২, ০, ২ ও ৮ রান করা সৌম্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ওপেনিংয়ে জায়গা হারান। তার পরিবর্তে নাঈমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে আসেন শেখ মেহেদী হাসান। উদ্বোধনী জুটিতেই বড় রানের সংগ্রহের ভীত পায় টাইগাররা। তবে সেটি ধরা রাখতে পারেনি।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে লাল-সবুজের সংগ্রহ ১২২ রান। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের আগের চার ম্যাচ শেষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। এ ম্যাচ জিতে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করতে গেলে ১২২ রানের আগেই আটকাতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ ম্যাচ জিতে ২-৩ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করতে অজিদের প্রয়োজন ১২৩ রান।
ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৪ ওভার ৩ বলে থেকে ৪২ রান ওঠে বাংলাদেশ দলের স্কোর বোর্ডে। তাতে মনে হচ্ছিল বড় রানের সংগ্রহ পেতে চলেছে টাইগাররা। যে পিচে সিরিজের শেষ ম্যাচ হচ্ছে, সে পিচেই সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচ হয়েছিল। যেখানে সর্বোচ্চ স্কোর ১৩১ রানের। দুই ম্যাচই জয় পায় বাংলাদেশ দল। আজ তো ভালো শুরু পেয়ে সেটিও পার করতে পারল না বাংলাদেশ।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে দলীয় ৪২ রানের সময় টার্নারের করা তৃতীয় বলে সজোরে হাঁকিয়েছিলেন মেহেদী। ব্যাটে-বলে এক হয়নি, হাত থেকে ফসকে যায় ব্যাট। মিড উইকেটে ধরা পড়েন অ্যাগারের হাতে। ২টি চারের মারে ১২ বলে ১৩ রান করে আউট হন মেহেদী। মূলত এরপরেই বদলে যায় বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের প্রেক্ষাপট। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় অজিরা। মন্থর উইকেটের মতো মন্থর হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের রান তোলার গতি।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলের শুরুটা যেভাবে হয়, সেই গতি আর ধরে রাখতে পারেননি সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান সোহানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ দল।
মেহেদীর আউটের পর উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। তবে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি নাঈম। প্রতি ম্যাচের মতো এবারও থিতু হয়ে নিজের উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন এই বাঁহাতি তরুণ। ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে তিনিও ধরা পড়েন অ্যাগারের হাতে, ফেরেন ২৩ বলে ২৩ রান করে।
ইনিংসের দশম ওভারের শেষ বলে জাম্পাকে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন সাকিব। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন ২০ বলে ১১ রান করে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি, অ্যাগারের বলে তাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ১৪ বলে ১৯ রান করে।
ওপেনিংয়ে জায়গা হারিয়ে চার নম্বরে নামা সৌম্য আজ কোনোরকম দুই অঙ্কের কোটা ছুঁয়েছেন, ক্রিস্টিয়ানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ১৬ রান করে। এতে একশো রানের কোটা ছোয়ার আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে ম্যাচের ১৫ ওভারের খেলা।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আক্ষেপ বাড়ালেন আরও। নিজের খেলা প্রথম ৬ বলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। তার প্রভাব পড়ল স্কোর বোর্ডে। আফিফ হোসেন শেষ ওভারে ১০ রান করে আউট হলে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২২ রানে। শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ দল তুলতে পারে মাত্র ২০ রান!
খুলনা গেজেট/ টি আই