১১ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির চতুর্থদফায় মুক্তি পেল ৩৩ ফিলিস্তিনি বন্দী। কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা জানায় যুদ্ধবিরতির এ ধাপে ৩৩ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৩০ জনই শিশু ও ৩ জন নারী।
হামাস পরিচালিত কুদস নিউজ নেটওয়ার্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের(সাবেক টুইটার) একটি ভিডিওতে দেখা যায় মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের বহনকারী একটি বাস একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা উল্লাস করছে এবং হাততালি দিচ্ছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চার দিনের যুদ্ধবিরতি আরও দু’দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, ইসরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
এদিকে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সহ বিশ্ব নেতারা যুদ্ধবিরতির বর্ধিতকরণকে স্বাগত জানিয়েছেন। গুতেরেস আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বিরতির ফলে গাজা উপত্যকায় আরও গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে সক্ষম হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আল জাজিরাকে বলেছেন,কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা আশা করছে আরও বন্দী মুক্তি পাবে এবং যুদ্ধবিরতির আরও স্থায়ী হবে। গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় সাময়িক এ যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেছে ইসরায়েল ও হামাস। চার দিনের এ যুদ্ধবিরতির আজ শেষ দিন। এ পর্যন্ত হামাস ৫০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে, কারাগার থেকে ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে তেল আবিব।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়, সেই সঙ্গে জিম্মি করা হয় ২৪০ জনকে। এরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি।