ঢাকা টেস্টে জিততে হলে সফরকারি আফগানিস্তানকে চতুর্থ ইনিংসে বিশ্বরেকর্ড গড়েই জিততে হবে। প্রথম ইনিংসে বড় লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাই অনুমিত ছিল আফগানদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা অনেক বড়ই অপেক্ষা করছে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। দ্বিতীয় ইনিংসে শান্ত-মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ আফগানদের সামনে রানপাহাড় দাঁড় করিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। ফলে এই টেস্টে জয়ের জন্য আফগানিস্তানকে করতে হবে ৬৬২ রান।
প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দাপুটে সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল শান্ত। এদিন সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকও। দুই বছরেরও বেশি সময় পর সাদা পোশাকে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটির দেখা পেয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২৫ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত মুমিনুল হক ১২১ ও অধিনায়ক লিটন আছেন ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২১ সালের এপ্রিলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। এবার আফগানদের বিপক্ষে পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। এর মধ্যে ঢাকা টেস্টের আগে ১৫ ইনিংসের ১১টিতে বিশ রানের ঘরে যেতে পারেননি তিনি।
এর আগে জাকির হাসান ৯৫ বল খেলে আট চারে ৭১ রান করে আউট হয়েছেন। শান্ত ১৫১ বলে ১২৪ রানে আউট হয়েছেন। ১৫টি চার মেরেছেন তিনি। এর আগে জাকির হাসান ৭১ রান করেন।
বুধবার (১৪ জুন) ঢাকা টেস্টে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথমদিন ৫ উইকেটে ৩৬২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়দিন মাত্র ২০ রান যোগ করেই অলআউট হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে বল হাতে স্বাগতিকরা ছিল দুর্দান্ত। মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট করে দেয় আফগানদের। প্রথম ইনিংস থেকে ২৩৬ রানের লিড ঘরে তোলে।
প্রথম ইনিংসে নাজমুল শান্ত খেলেন ১৪৬ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান ২৩টি চার ও দুটি ছক্কার শটে। এছাড়া মাহমুদুল জয় ৭৬ রান করেন। মুশফিক ও মেহেদি মিরাজ যথাক্রমে ৪৭ ও ৪৮ রান যোগ করেন।
জবাবে দেড়শ’ রানের আগে অলআউট হওয়া আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন মিডল অর্ডারের আফসার জাজাই। পাঁচে নামা নাসির জামালের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। এছাড়া করিম জানাত ২৩ রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে পাঁচ উইকেট তুলে নেন পেসার নিজাত মাসুদ। অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। বাংলাদেশ দলের হয়ে পেসার এবাদত হোসেন চার উইকেট তুলে নেন। দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/এনএম