রাতে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বর্ধিত দামের সাথে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। যে কারণে বর্ধিত দামের সাথে ভাড়ার সমন্বয় করার দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে ডিজেল চালিত সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। আর এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে জ্বালানি তেলের বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করায় পরিবহন শ্রমিকদের একটি দলকে পিটুনি দিয়েছে পুলিশ।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় তারা সিএনজিচালিত বাস চালাতেও বাধা দেয়। এনিয়ে নগরের আগ্রাবাদে একদল বিক্ষুব্ধ শ্রমিককে লাঠিপেটা করে কর্তব্যরত পুলিশ। এতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, জিইসি, দেওয়ানহাট ও আগ্রাবাদ মোড়ে ঘুরে দেখা যায়, কলকারখানা ও অফিসগামী সাধারণ মানুষের ঢল। রাস্তায় গণপরিবহন নেই বললেই চলে। পুরো সড়কজুড়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও রিকশার রাজত্ব।রাস্তায় চলাচলরত অধিকাংশ সিএনজিতে ছিলো যাত্রী।
তাই খালি কোন সিএনজি আসলেই তা ভাড়া করতে মানুষ হুড়োহুড়ি করছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেল চালকদের অধিকাংশকেই রাইড শেয়ারিং এ্যাপস বন্ধ করে কন্টাক্টে যাত্রী নিতে দেখা যায়। এই সুযোগে রিকশা চালকরাও ভাড়া হাঁকাচ্ছেন প্রায় দ্বিগুণ।
অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ায় বেশ কয়েক জায়গায় চালকদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতন্ডা দেখা যায়। এরমধ্যে ভাড়া দ্বিগুণ চাওয়ায় নগরের বহদ্দারহাটে এক যাত্রীর সাথে রিকশাচালকের বাকবিতন্ডা হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের দুই সদস্য এসে তাদের নিবৃত্ত করে।
এদিকে শুক্রবার রাতে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়া সংগঠন মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল। শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আসলে আমরা ওইভাবে ধর্মঘট ডাকিনি। রাতে পেট্রোল পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ চালকরা তেল পাননি। যে কারণে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন না। তবে আমাদের গ্যাসে চালিত গাড়ি চলছে। আর আজকে সন্ধ্যায় আমরা মালিক শ্রমিকরা বসবো। সেখানে এই মুহূর্তে আমাদের করণীয় ঠিক করবো।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব ধরনের জ্বালানি তেলে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় সরকার। এই সিদ্ধান্ত রাত ১২টার পর কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই ঘোষণা আসার পর রাত ১২টার পর থেকে বেশি দামে বিক্রির চিন্তায় চট্টগ্রাম নগরের প্রায় সবকটা পেট্রোল পাম্পে জ্বালনি তেল বিক্রি বন্ধ করে পাম্প মালিকরা।