খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

ঘূ‌র্ণিঝড় ‘তকতে’-র দাপটে কর্নাটক ও কেরলে মৃত ৬, বিধ্বস্ত গোয়াও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তকতে’-র দাপটে কর্নাটকে মৃত্যু হল ৪ জনের। ঝড়ের দাপটে ৭৩টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছে কর্নাটক প্রশাসন। যে ছ’টি জেলায় ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে তিনটি উপকূলবর্তী ও তিনটি পশ্চিমঘাট পর্বত সংলগ্ন। শনিবার রাতে কেরলেও ঝড়ের প্রভাবে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।রবিবার বেলা বাড়তেই গোয়ায় ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব বেড়েছে। উপড়ে গিয়েছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। গোয়ার একটা বড় অংশে ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু রাস্তা।

প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ‘তকতে’ এগিয়ে এল স্থলভাগের আরও কাছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুসারে শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ এই ঝড়টি ছিল গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাত উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। মঙ্গলবার সকালে তকতে গুজরাতের উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের শক্তি অনুমান করার জন্য আগামী ১২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

শনিবার এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেই বৈঠকে নির্দেশ দেন যেন এই ঝড়ের কারণে করোনা চিকিৎসায় কোনও সমস্যা না দেখা যায়। হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা যাতে দেওয়া হয়, সে কথা বলেন তিনি। ঝড়ের সময় দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও।

রবিবার সকাল থেকেই মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক ও গুজরাত, অর্থাৎ ভারতের পশ্চিম উপকূল জুড়েই ঝড়ের আগাম প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ-এর উপকূলবর্তী অংশে বিপুল বৃষ্টি চলবে। শুধু তাই নয় কেরল, তামিলনাড়ু উপকূলেও সমুদ্রের বিশাল ঢেউ জানান দিচ্ছে ঝড়ের ভয়াবহতা।

কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার জানিয়েছেন, তকতে কর্নাটকের উপকূলে আংশিক ভাবে আঘাত হেনেছে। মোকাবিলা করতে ঘটনাস্থলে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ১ হাজার মানুষ ২৪ ঘণ্টা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। কর্নাটকের তিনটি উপকূলবর্তী জেলায় দলগুলি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ও দিকে বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ৫০০ করোনা আক্রান্তকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। ঝড়ের জন্য বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!