খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রামপালে প্রায় ৯ কোটি টাকার ক্ষতি

রামপাল প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রামপাল উপজেলায় ৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ৭৪ টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ ও ১৪৯ টি আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১০ হাজার ৭০০ জন।

রামপাল উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৭৪ টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ণভাবে ও ১৪৯ টি আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১০ হাজার ৭০০ জন। এ উপজেলায় একজন মহিলা আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। কৃষিতে কিছুটা ক্ষতি হলেও আমন আবাদের কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন। হাস-মুরগী মারা গেছে ১ হাজার ১৫০ টি। যার অনুমান মূল্য ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৫ শত টাকা। বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে ৩৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকার। পাকা সড়কের আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকার আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার। উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার।

হাসপাতালের ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার। সব চেয়ে বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষিদের। পুকুর ও জলাশয়ের ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকারও বেশি মাছ ভেসে গেছে।

রামপাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ চলমান রেখেছি। এখনো বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিবুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। ঝড়ো হাওয়া ও অতিবর্ষণে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। কাঁচা ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, কমিউনিটি হাসপাতাল, হাস-মুরগী, সড়কসহ কিছু অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছি যার পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি ৮৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৫০০ টাকার মতো। উপজেলা তাৎক্ষণিকভাবে ১০ ইউনিয়নে কিছু ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে আমরা ক্ষতি গ্রস্তদের সহয়তা প্রদান করা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!