খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

ঘূর্ণিঝড় মোখা : ‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত

গেজেট ডেস্ক

চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মধ্যেই সাগরে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা; কর্তৃপক্ষ বলছে, ঝড়ের গতিপ্রকৃতি ও সার্বিক অবস্থা বুঝে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় মোখার অবস্থান ছিল বাংলাদেশ উপকূল থেকে মোটামুটি ১২০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোসাগরে।

এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়াবিদরা যে পূর্বাভাস দিয়েছেন, তাতে রোববার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এ ঝড় বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে। আবার ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসের ঝুঁকিও তৈরি হয়।

সারাদেশে গত ৩০ এপ্রিল শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এখন মাঝপথে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য দিন হিসেবে যে রোববারের কথা বলা হচ্ছে, সেদিনও পরীক্ষা রয়েছে।

সেদিন সকাল ১০টা থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান, মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা।

আর পরদিন সোমবার রয়েছে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়), সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা।

পূর্বাভাস ঠিক থাকলে শনিবার রাত থেকেই ঝড়ের প্রভাব পড়কে উপকূলীয় এলাকায়। সেক্ষেত্রে রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারিত এ পাবলিক পরীক্ষার ভাগ্য কী হবে, সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

কক্সবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিনের কাছে মাঠের পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে, মানে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড থেকে আমাদের কাছে কোনো সিদ্ধান্ত আসেন। কেন্দ্র থেকে আমাদের নিশ্চয় জানাবে। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।”

তিনি বলেন, “আমাদের জেলা প্রশাসনও এ ব্যাপারে অবগত আছে। দুদিন আগে আমরা এ ব্যাপারে সভা করেছি। সেখান থেকে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যদি এমন হয় যে অবশ্যই আঘাত হানবে এবং পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, তাহলে আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে বাচ্চাদের সরিয়ে নেওয়া… এগুলো তো করবোই। আমরা এই মুহূর্তে জাস্ট অ্যালার্ট আছি যেন কোনো কমিউনিকেশন গ্যাপ না হয়।”

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, “পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।

“আমরা পরীক্ষা চালু রাখতে পারব কি না, স্থগিত করব কি না, আমাদের করণীয় কী, এগুলো মোটামুটি আমাদের আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া থাকে, আমরা তখন জানিয়ে দেব।”

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এরই মাঝে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকায় যত আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে, তা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!